ফাইল চিত্র।
হাওড়ায় বিষমদ-কাণ্ডে সরকারি ভাবে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিলম্বিত (সাসপেন্ড) হলেন মালিপাঁচঘড়া থানার তিন পুলিশকর্মী। হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে সাব-ইন্সপেক্টর সরফরাজ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ওয়াসিম বারি এবং সুব্রত মেটিয়াকে। যদিও এর সরকারি নোটিস আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে আসেনি। পুলিশ সূত্রেই খবর, মদ খেয়ে বিষক্রিয়ার জেরে প্রাণহানির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে গ্রেফতার হয়েছেন।
মালিপাঁচঘড়া থানা থেকে কয়েক পা এগোলেই বাঁ হাতের সরু গলি থেকেই গজানন বস্তির শুরু। সেখানেই স্পিরিটের সঙ্গে দেশি মদ মিশিয়ে রমরমিয়ে চলত ব্যবসা। গজানন বস্তিতে বিষমদ খেয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের দাবি, পুলিশের নাকের ডগায় মদের কারবার চলেছে এত দিন ধরে। তাঁদের দাবি ছিল, পুলিশকর্মীরা এসে দেখে চলে যেতেন। পুলিশ ওই ঠেক ভেঙে দিলে এমন ঘটনা ঘটত না। পুলিশের সঙ্গে মদ ব্যবসায়ীদের ‘বোঝাপড়া’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃতদের নিকটাত্মীয়েরা।
বিষমদ-কাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতরও চলেছে বিস্তর। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরাও। এর পরেই মালিপাঁচঘড়ার তিন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হল।