বন্যায় আটকে থাকা এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে আনা হল। নিজস্ব চিত্র।
হুগলি জেলার খানাকুলে বন্যায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হল। সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর কপ্টারে করে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় আরামবাগে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার রাতে রূপনারায়ণ নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় খানাকুল-২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী তীরবর্তী ধান্যঘরি এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম চলে যায় জলের তলায়। বহু মাটির বাড়ি ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু পাকা বাড়ির এক তলা ডুবে গিয়েছে। তাই গ্রামের অনেকেই দোতলা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধান্যঘরির সামন্তপাড়া, মান্নাপাড়া, সাউপাড়া, মাঝিপাড়ার কয়েকটি পরিবার স্থানীয় দোতলা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিল।
উদ্ধারের জন্য ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আবেদনও জানিয়েছিলেন বন্যাকবলিতরা। সোমবার তাঁদের সেখান থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে আরামবাগে নিয়ে আসা হয়। হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উদ্ধার কাজের তদারকি করেছেন। ঘটনা নিয়ে জেলাশাসক বলেছেন, ‘‘৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জল বাড়ছে নদীতে। তবে আর অসুবিধা হবে না। আমরা নজরদারি করছি।’’ বন্যাদুর্গতদের জন্য খাবার এবং ত্রিপলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব রহমান এবং কর্মাধ্যক্ষরা রবিবার থেকেই খানাকুলে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলির বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন।