আরিয়ানকে গ্রেফতারের পর অবিনাশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। ফাইল চিত্র ।
রামনবমীর মিছিলে রিভলভারকাণ্ডে হাওড়া পুলিশের হাতে গ্রেফতার আরও ১ তরুণ। মূল অভিযুক্ত সুমিত সাউ এবং তাঁর বন্ধু আরিয়ান গুপ্তের পর গ্রেফতার করা হল আর এক বন্ধু অবিনাশ যাদবকেও। অভিযোগ ছিল, সুমিতের কাছ থেকে রিভলভার সংগ্রহ করে অবিনাশই তা আরিয়ানের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আরিয়ানকে গ্রেফতারের পর অবিনাশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এ বার সেই অবিনাশকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
বুধবার ধৃত তিন তরুণকে আদালতে পেশ করা হলে তাঁদের আট দিনের সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম)।
বুধবার সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানান, রামনবমীর মিছিলে অশান্তি ছড়ানোর ঘটনার পর অভিযুক্ত সুমিত মুঙ্গেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্ত মুঙ্গেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। লোকেশন ট্র্যাক করে সোমবার রাতে তাঁকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে মুঙ্গেরের সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ট্রানজ়িট রিমান্ডে তাঁকে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়েছে।’’
সিপি জানান, রিভলভারকাণ্ডে অভিযুক্ত সুমিত মুঙ্গের পালিয়ে যাওয়ার আগে ওই রিভলভার হাওড়ার ফকিরবাগানের বাসিন্দা অবিনাশকে দিয়ে যান। সুমিতের নির্দেশে ওই বন্দুক নন্দীবাগানে আরিয়ানের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন অবিনাশ। মঙ্গলবার আরিয়ানের কাছ থেকেই সেই বন্দুক উদ্ধার হয়। গ্রেফতারও করা হয় আরিয়ানকে। পাশাপাশি, পুরো ঘটনায় অবিনাশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে তাঁকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর হাওড়া পুলিশ তাঁকেও গ্রেফতার করল।
সিপি এ-ও জানান, এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলাকালীন বেশ কয়েকটি নামও উঠে এসেছে। হাওড়া পুলিশের তরফে সেই সব তথ্য তদন্তকারী সিআইডি আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।