হাই মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ হবে পিএসসি-র মাধ্যমে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাঁচলা: আপাতত তিন জন শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে পাঁচলার বেলডুবিতে হাওড়া জেলার একমাত্র ইংরেজি মাধ্যম হাই মাদ্রাসায় প্রাক্-প্রাথমিক এবং প্রথম শ্রেণির পঠনপাঠন চালু হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। পরে এখানে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের নিখরচায় ক্লাস করানো হবে বলে ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
দফতরের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ওই হাই মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ হবে পিএসসি-র মাধ্যমে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যের প্রতি জেলায় একটি করে ইংরেজি মাধ্যম হাই মাদ্রাসা গড়ার সিদ্ধান্ত হয় বাম আমলের শেষ দিকে। ২০১৩-১৪ সাল থেকেই হাওড়ায় মাদ্রাসা গড়তে উদ্যোগী হয় জেলা প্রশাসন। শর্ত ছিল, জমির ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রশাসনকেই। তার পরে ভবন তৈরি থেকে শুরু করে পঠনপাঠনের যাবতীয় ব্যবস্থা করবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। কিন্তু জমির অভাবে ভবন তৈরি কাজ শুরু হতে বেশ দেরি হয়।
২০১৬ সালে উলুবেড়িয়ার চেঙ্গাইলে একটি সরকারি জমিতে ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। পরে সেই জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। যতটুকু কাজ হয়েছিল, সেই টাকা কার্যত জলে যায়। পরে বেলডুবিতে দান করা জমি মেলে। সেই জমিতে ভবন তৈরির জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। কিন্তু কিছুটা কাজ হওয়ার পরে এখানেও জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় বিধায়ক গুলশন মল্লিক এবং ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে জট কাটে।
গুলশন বলেন, ‘‘এই হাই মাদ্রাসায় প্রান্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা নিখরচায় আধুনিক শিক্ষার সুযোগ পাবে।’’ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ করে মাদ্রাসাটি পুরোদস্তুর যাতে চলে, দেখতে হবে।’’