Death

বধূকে খুনে স্বামীর সঙ্গে জড়িত দেওরও, জানতে পারল পুলিশ

গত ২৫ জুলাই ভোরে সলপের কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পাকুড়িয়া সেতু থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। দেহটি ছিল চাদরে মোড়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৫২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা গৃহবধূ সুনয়না দেবীকে খুনের পিছনে শুধু তাঁর স্বামী অনিল যাদবই নয়, ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত তার ভাই, অর্থাৎ সুনয়নার দেওরও। আদালতের নির্দেশে ধৃত অনিলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে প্রাথমিক ভাবে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই খুন, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, ধরা পড়েনি অনিলের ভাইও। সেই কারণে ওই অভিযুক্তের খোঁজে ডোমজুড় থানার একটি তদন্তকারী দল বিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, শুধু পারিবারিক অশান্তির জন্য সুনয়নাকে যে খুন করা হয়েছে তা নয়। ঘটনার পিছনে ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির কোনও বিষয়ও জড়িত। আর সেটা জানা গেলেই এই খুনের আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার হবে।

Advertisement

গত ২৫ জুলাই ভোরে সলপের কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে পাকুড়িয়া সেতু থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। দেহটি ছিল চাদরে মোড়া। কে বা কারা ওই মহিলার দেহ ফেলে গিয়েছে, তা জানতে রীতিমতো আতান্তরে পড়ে পুলিশ। রহস্য উন্মোচনের জন্য হাওড়ার নগরপালের নির্দেশে, ডোমজুড় থানার ওসি শুভ্র মজুমদারের নেতৃত্বে বিশেষ দল তৈরি হয়। ওই দলটি ৫৩ দিন ধরে মৃত মহিলার ছবি নিয়ে বিভিন্ন থানা এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। অবশেষে লিলুয়া থানা এলাকার চকপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা ছবিটি দেখে সুনয়নাকে চিনতে পারেন।

এর পরে পুলিশের ওই দলটি সুনয়নার বাড়ি গিয়ে জানতে পারে, মাসখানেক আগে তাঁর স্বামী অনিল দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে। এর ১৫-২০ দিন পরে অনিলকে ফের পাড়ায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এলাকাবাসী। তখন তাঁরা জানতে পারেন, লিলুয়ার বাড়ি বিক্রি করে সপরিবার চলে গিয়েছে অনিল।

Advertisement

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই মহিলার দেহ উদ্ধারের পরে আমরা তাঁর ছবি-সহ লিফলেট তৈরি করে বিভিন্ন থানা এলাকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। ৫৩ দিন পরে মৃতার পরিচয় জানা যায়।’’ তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সুনয়নার স্বামী অনিল কামারডাঙা এলাকায় একটি কাঠের কারখানায় কাজ করত। সেখান থেকে আরও জানা যায়, সে বিহারে দেশের বাড়িতে চলে গিয়েছে। এতেই অনিলের উপরে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় পুলিশের।

পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে অনিল জানিয়েছে, সে ও তার ভাই লিলুয়ার চকপাড়ার বাড়িতেই সুনয়নাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এর পরে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ফিরে এসে প্রমাণ লোপাট করার জন্য দেহটি চাদরে মুড়ে পাকুড়িয়া সেতুতে ফেলে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement