গণপরিবহণের প্রতিনিধিদের নিয়ে চুঁচুড়ায় বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আজ, শনিবার থেকেই গণপরিবহণের ক্ষেত্রে সব রকম সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশিকা জারি করল হুগলি জেলা প্রশাসন। প্রশাসন জানিয়েছে, গণপরিবহণের কাজে যুক্ত সকলের মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। যাত্রীদেরও তা ব্যবহার করতে হবে। যাত্রিবাহী গাড়ি, অটো এবং নৌকা নিয়মিত স্যানিটাইজ় করতে হবে।
শুক্রবার জেলার সব বাস-মালিক সংগঠন, অটো-মালিক সংগঠন এবং জলপথ পরিবহণের সঙ্গে যুক্তদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় চুঁচুড়ায়। বৈঠকে জেলা প্রশাসন এবং জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কর্তারা হাজির ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্তমতো ওই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘গণপরিবহণ চালু রাখার পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে প্রশাসন বদ্ধপরিকর। জনস্বাস্থ্যকে আমার খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই কাজে যাতে কোনও খামতি না থাকে সেই লক্ষ্যে এ দিন বৈঠক হল। এই কাজে কোনও ধরনের গাফিলতি রেয়াত করা হবে না।’’ জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সরকারি নির্দেশিকাগুলি যাতে সঠিক ভাবে রক্ষিত হয়, সেই লক্ষ্যে প্রশাসনের তরফে নিয়মিত নজর রাখা হবে।’’
বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা গাড়ি স্যানিটাইজ় করার ক্ষেত্রে পুরসভাগুলির সাহায্যের জন্য আবেদন জানান প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনের তরফে পুরসভাগুলিকে সেই নির্দেশিকা জারিরও অনুরোধ করা হয়। শ্রীরামপুরের বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি আমরাও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাই। কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে আর্থিক ব্যয় যুক্ত। তাই বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়টিও সরকারের অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে আর বিলম্ব না করে চূড়ান্ত করা উচিত। তা হলে সব দিকই সুষ্ঠু ভাবে রক্ষিত হওয়া সম্ভব।’’ জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানান, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারই একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে।