Botanical Garden

প্রতিবেশীর ছোড়া ময়লায় বিপর্যস্ত বটানিক্যাল গার্ডেন

উদ্যান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চত্বরে আবর্জনা না ফেলতে আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিপূর্বেই সচেতনতার প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে হাওড়া পুরসভার সঙ্গেও কথা বলা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:০৩
Share:

শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনের পড়ে যাওয়া গাছ ও আর্বজনা পরিষ্কার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষকে। ফাইল ছবি।

আমপানের পর গত দু’বছর ধরে শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনের পড়ে যাওয়া গাছ ও আর্বজনা পরিষ্কার করতে হিমশিম খেতে হয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষকে। সদ্য পরিষ্কার করা সেই উদ্যানে আবার পাঁচিলের অন্য প্রান্ত টপকে উড়ে আসছে প্লাস্টিকের বোতল বা আবর্জনা ভর্তি প্লাস্টিক। এমনই অভিযোগ করলেন বটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। হাওড়া পুরসভাকে চিঠি দিয়ে গার্ডেনের বাইরে আরও ভ্যাট তৈরির আবেদন জানাবেন তাঁরা।

Advertisement

গঙ্গার ধারে ২৭৩ একর জমির উপর তৈরি শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনের অধিকাংশ এলাকাই পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। গার্ডেন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বাইরে থেকে উদ্যানের ভিতরে ফেলা জঞ্জালের সমস্যা মূলত হচ্ছে আন্দুল রোডের বকুলতলা গেটের কাছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই পাঁচিল টপকে উদ্যান চত্বরে জঞ্জাল ছুড়ে ফেলছেন। এমনকি পথচলতি মানুষও প্লাস্টিকে মুড়ে আবর্জনা ফেলে দিচ্ছেন বলে দাবি। এর জেরে উদ্যানের নিকাশি নালা বুজে যাচ্ছে। ফলে গঙ্গার জল ওই নালা দিয়ে উদ্যানের ভিতরের পুকুরে প্রবেশ করতে পারছে না বা বর্ষার জল বেরোতেও সমস্যা হয়।

বটানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিংহ জানান, গার্ডেনকে সুরক্ষিত রাখতে ২৪টি পুকুর ব্রিটিশ আমলেই তৈরি করা হয়েছিল। উদ্যানের সাফাইকর্মীরা অভিযানে নালা থেকে প্রচুর আবর্জনা, প্লাস্টিক, প্লাস্টিকের বোতল জঞ্জাল পেয়েছেন। এই সবে ক্ষতি হচ্ছে উদ্যানের বহু প্রাচীন মূল্যবান গাছের। আবর্জনার কারণে গাছের জন্য সংরক্ষণ করা পুকুরের জলও দূষিত হচ্ছে।

Advertisement

দেবেন্দর বলেন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাবেই এমনটা হচ্ছে। আশপাশের বাড়ি বা বহুতল থেকে নোংরা আবর্জনা প্লাস্টিকে মুড়ে বটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। পথচলতি মানুষও এ কাজ করছেন। ফলে ক্ষতি হচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তম বটানিক্যাল গার্ডেনের।’’

উদ্যান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চত্বরে আবর্জনা না ফেলতে আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিপূর্বেই সচেতনতার প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে হাওড়া পুরসভার সঙ্গেও কথা বলা হবে। জানানো হবে, যতটা এলাকা নিয়ে বটানিক্যাল গার্ডেন রয়েছে, ততটা এলাকা জুড়ে আরও বেশি ভ্যাট তৈরি করতে। যাতে বাসিন্দারা ভিতরে আবর্জনা ছোড়ার বদলে পুরসভার ভ্যাটেই জঞ্জাল ফেলতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement