বহিষ্কৃত নেতারা তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল। —নিজস্ব চিত্র।
দলের নির্দেশ না মানায় তৃণমূল বহিষ্কার করেছিল তাঁদের। আর সোমবার, দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করলেন সেই নেতারাই। উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বাসুদেবপুরের ঘটনা। অনুষ্ঠান শেষে ‘বহিষ্কৃত’ বাসুদেবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গোপাল কোলে, উলুবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শেখ আসাদুর রহমানের দাবি, তাঁরা বহিষ্কারের কোনও চিঠি পাননি।
বাসুদেবপুর পঞ্চায়েত গঠনের সময় তৃণমূলের মধ্যে কে প্রধান হবে, তা নিয়েই ঝামেলা শুরু। ২০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ১৩টি, বিজেপি ৬টি ও আইএসএফ ১টি। তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু মাইতিকে প্রধান করা হবে। কিন্তু বোর্ড গঠনের দিন প্রধান পদের জন্য পিন্টুর সঙ্গে নাম ওঠে গোপাল কোলের।
ভোটাভুটিতে গোপাল পায় ১১টি ভোট ও পিন্টু পায় ৯টি। এরপর বিজেপি ও আইএসএফের সমর্থন নিয়ে গোপাল প্রধান হন। এরপরই গোপালকে দলের যাঁরা সমর্থন করেছিলেন তাঁদের এবং গোপালকে বহিষ্কার করেন উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি।
এ দিন তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের সময় আসাদুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে তৃণমূলের জন্ম থেকে দল করছি। কোনও বহিষ্কারের চিঠি পাইনি। নির্মল মাজির আমাদের বহিষ্কার করার কে?’’ বাসুদেবপুর পঞ্চায়েত প্রধান গোপাল কোলে বলেন, ‘‘প্রধান নির্বাচনে সদস্যরা আমাকে জয়ী করেছে। কারা ভোট দিয়েছেন জানি না। আমি এখন সকলের পঞ্চায়েত প্রধান। বহিষ্কারের চিঠি পাইনি।’’
ঘটনা প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাজি বলেন, ‘‘দল ওদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে অনুমোদন দেয়নি। যে দোকানের লাইসেন্স নেই, তার কোনও দাম নেই। আমরা প্রধানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’’
হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পালচৌধুরী বলেন, ‘‘গোপাল কোলে-সহ আরও কয়েক জন বিজেপিকে দলবদলের কথা লিখিত জানিয়েছিেলন। তাই তাঁদের সমর্থন করেছিলাম। ওঁরা যদি এখনও তৃণমূলেই থাকেন, তাহলে হয়তো আমরা সমর্থন তুলে নেব।’’