মাদ্রাসার হস্টেলে পরিষেবা নিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভ । —নিজস্ব চিত্র।
ছাত্রাবাসে নিম্নমানের খাবার এবং জলের সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আরামবাগের হরিণখোলা পিরনগর নাবাবিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার কয়েক জন ছাত্র। শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই বিক্ষোভে যোগ দেন স্থানীয় অভিভাবকরাও। প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্লোগান দেয় পড়ুয়ারা। তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেনপ্রধান শিক্ষক।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। শিক্ষাকেন্দ্রে কোনও অশান্তি করা যাবে না জানিয়ে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অভিযোগ থাকলে তা স্কুল শিক্ষা দফতরে জানাতে বলে পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, এ দিন বিক্ষোভের জেরে মাদ্রাসার স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে কোনও বিঘ্ন হয়নি।
বিক্ষোভকারী ছাত্র ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ছাত্রাবসের খাবার নিম্নমানের। আনাজ থাকে না বললেই চলে। ডিমও সব দিন গোটা পাওয়া যায় না। অভিযোগ, এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানাতে গেলে, তিনি পড়ুয়াদের প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ নম্বর কেটে নেওয়ার হুমকি দেন।
একাদশ শ্রেণির খন্দকার মহম্মদ ইউসুফের অভিযোগ, “ছাত্রাবাসে নানা অনিয়মের জন্য অনেকেই এখান থেকে চলে গিয়েছে। আমরা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মাত্র ১১ জন আছি। তাও উপযুক্ত খাবার মিলছে না। গত বৃহস্পতিবার থেকে জলের লাইনও প্রধান শিক্ষক বন্ধ করে দিয়েছেন। স্নান বা পানীয় জল আনতে অন্যত্র যেতে হচ্ছে।”
প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, “খাবারের মান যথাযথ আছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের পরিদর্শকরা প্রায়ই দেখে যান। তবে যথেচ্ছ পাম্প চালানোর জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে ছাত্রাবসের সঙ্গে সংযোগকারী সাব-মার্সিবলটা বন্ধ রেখেছি কয়েক দিন।’’ তিনি জানান, বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ট্যাঙ্ক উপচে জল পড়ে। জল অপচয় নিয়ে ছাত্রদের শিক্ষা দিতেই এই ব্যবস্থা।
বিষয়টা নিয়ে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের (মাধ্যমিক) অতিরিক্ত জেলা সহ পরিদর্শক (আরামবাগ) বৃন্দাবন ধাড়া বলেন, “কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’’