(বাঁ দিকে) জলমগ্ন বিদ্যালয় চত্বর। হাঁটুসমান জল ডিঙিয়ে সন্তানকে নিয়ে স্কুলের পথে মা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র
কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশ। জল জমেছে বামুনগাছি এলাকার কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় চত্বরেও। ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা। বৃষ্টির জল জমে গিয়ে আলাদা করে নর্দমা এবং রাস্তা চেনার উপায় নেই। ফলে রাস্তা পেরোতে গিয়ে নর্দমায় পড়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষকে বার বার জানিয়েও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। এক অভিভাবকের কথায়, “স্কুলের সামনে যা অবস্থা, তাতে নৌকা চালালে ভাল হয়।” স্কুলের বাইরে এবং ভিতরে জমা জলে কচুরিপানা ভাসার কথা জানান স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে নোংরা জল পেরিয়ে স্কুলে ঢুকতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। জ্যোতি রায় নামে এক অভিবাবক জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে একই সমস্যা। ঈশ্বর যাদব নামে আরও এক অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলকে জানিয়েও লাভ হয়নি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বিষয়টি পুরসভাকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। হাওড়ার পুর প্রশাসক এই প্রসঙ্গে জানান, যে হেতু জায়গাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, তাই পুরসভা নিকাশির কাজ করতে পারছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। পুর প্রশাসকের কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার কাজ না করলে হাওড়া পুরসভাকে নো অবজেকশন শংসাপত্র দেওয়া হোক। তাহলে কাজ করা যাবে।” তবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে এই টানাপড়েন মিটে গিয়ে কবে এই জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে, তা-ই জানতে উৎসুক কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকেরা।