কেরলের ওয়েনাড়ে সাকেত গোখলে এবং সুস্মিতা দেব। ছবি: সংগৃহীত।
পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ভূমিধসে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে গেল তৃণমূলের দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল। শনিবার কেরলের এই জেলায় পৌঁছন দলের রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং সাকেত গোখলে। বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দলের তরফে দুর্যোগে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ে যাবেন সুস্মিতা এবং সাকেত। মমতা লেখেন, “মানবিক কারণে আমরা দুই সাংসদের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছি। তাঁরা ওয়েনাড়ে গিয়ে দু’দিন থাকবেন। দেখা করবেন মৃত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে।’’
শনিবার তৃণমূলের দুই সাংসদ ওয়েনাড়ের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। তার পর আহতদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছন হাসপাতালে। নিহতদের পরিজনদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁদের। নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে সুস্মিতা জানান, ভূমিধসে বিপর্যস্ত মানুষগুলিকে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়েনাড়ের পাশে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবারই ওয়েনাড়ের বিধ্বস্ত এলাকায় যান লোকসভায় বিরোধী দলনেতা তথা ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। রাহুল ওয়েনাড়ের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘পিতার মৃত্যুর চেয়েও বেদনাদায়ক’ বলে বর্ণনা করেন।
ওয়েনাড়ের ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩০০ ছাড়িয়েছে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৩০৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকের সম্পূর্ণ দেহ উদ্ধার করা যায়নি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে মিলেছে দেহাংশ মাত্র। সংবাদ সংস্থা এএনআই-তে প্রকাশ, সরকারি হিসাবে ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি, অন্তত ৩৪০। নিখোঁজ এখনও শতাধিক মানুষ। ধস নামার চার দিন পরে, শনিবারও ওয়েনাড়ে উদ্ধারকাজ চলছে।