বেলাড়িতে গঙ্গার ধারে হোম স্টে। নিজস্ব চিত্র।
এখানে গঙ্গার ধারে বসে সূর্যাস্ত দেখতে পারেন। সপ্তাহান্তের ছুটিতে শহরের কংক্রিটের জঙ্গল এড়িয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে এসে চুটিয়ে আড্ডা দিতে পারেন। যেতে পারেন এ দিক, ও দিকও। হাওড়ার শ্যামপুরের বেলাড়িতে গঙ্গার ধারে হোম স্টে হতে পারে পর্যটকদের ছুটি কাটানোর নতুন ঠিকানা। চালু হচ্ছে আর কয়েক দিনের মধ্যে।
রাজ্যের পর্যটনচিত্রে হোম স্টে-র ভাবনা নতুন নয়। তবে হাওড়া জেলার পর্যটনচিত্রে এটা নবতম সংযোজন। গাদিয়াড়ায় পর্যটন দফতরের নিজস্ব হোটেল আছে। গড়চুমুকে আছে জেলা পরিষদের বাংলো। রয়েছে বহু বেসরকারি হোটেলও। ঘরোয়া পরিবেশের স্বাচ্ছন্দ্য দিতেই এ বার হোম স্টে-র ভাবনা বলে জানিয়েছে জেলা পরিষদ।
জেলা পরিষদের বন, ভূমি ও পর্যটন বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ অন্তরা সাহার দাবি, ‘‘হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় অনেক পর্যটনকেন্দ্র আছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অনেক পর্যটক জনাকীর্ণ পরিবেশ এড়িয়ে নির্জন ঘরোয়া পরিবেশে থাকতে পছন্দ করছেন। তাঁদের জন্যই বেলাড়ির এই হোম স্টে’র ভাবনা। শীঘ্রই এটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলাড়িতে গঙ্গার ধারে নিরিবিলি পরিবেশে একটি নতুন আবাসন প্রকল্প তৈরি হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু বাংলোও হয়েছে। এক বাংলোর মালিক তাঁর ওই জায়গায় পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য প্রস্তাব দেন রাজ্য পর্যটন দফতর এবং জেলা পরিষদের কাছে। তাতে সম্মতি জানিয়ে ওই বাংলোর মালিকের সঙ্গে চুক্তি করেছে পর্যটন দফতর। বাংলোর পরিকাঠামো সংস্কারের জন্য পর্যটন দফতর টাকাও দিয়েছে।
জেলা পর্যটন আধিকারিক দুর্গা দাস বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে রান্নাঘর করে দেওয়া হয়েছে। চাইলে পর্যটকেরা নিজেরা রান্না করে নিতে পারেন। আবার বাংলোর মালিককেও খাবারের বরাত দিতে পারেন। বাড়ির ভাড়া ঠিক করবেন মালিক নিজেই। তিনিই ভাড়ার টাকা নেবেন। পর্যটকেরা স্বচ্ছন্দে থাকতে পারছেন কি না, সেটার তত্ত্বাবধান করবে পর্যটন দফতর।’’