মা সারদার পাশে মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিও শোভা পায়। নিজস্ব চিত্র
করোনা-আতঙ্ক আর নেই। দুর্গাপুজোয় মানুষ এ বার বাঁধনছাড়া। দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে পুজোমণ্ডপগুলিতে। হাওড়ার আমতার কাছে খড়িয়পে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহারও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানে শারদেশ্বরী দুর্গা রূপে আরাধনা করা হয় মা সারদার।
স্বামী বিবেকানন্দ মা সারদাকে জীবন্ত দুর্গা বলতেন। জগৎজননীকে দুর্গা রূপে পুজোও করতেন স্বামীজি। তাঁকেই অনুসরণ করে এই মঠ। দুর্গা রূপে এখানে পূজিতা হন মা সারদা। মা সারদার পাশে মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিও শোভা পায়।
১৯৯৫ সালে স্বামী সম্বুদ্ধানন্দের হাত ধরে পথ চলা শুরু এই মঠের। হাওড়ার আমতার কাছে খড়িয়প গ্রামে এই মঠের অবস্থান। এর চার বছর পর, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে এখানে দুর্গাপুজো শুরু। ২০০০ সালে কলকাতার চিড়িয়া মোড়ের কাছে রেডিও গলিতে এই মঠের প্রধান কার্যালয় স্থানান্তরিত হয়।
এই দুর্গাপুজোর আরও এক আকর্ষণ আশ্রমের ভোগ। পুজোর চার দিনই অসংখ্য মানুষ এখানে ভোগ খেতে আসেন। অষ্টমীর দিন তো আশ্রমসংলগ্ন গ্রামগুলি ভেঙে পড়ে এই আশ্রমে। মহারাজদের মতে অষ্টমীর দুপুরে প্রায় তিরিশ হাজার মানুষের সমাগম হয়। অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজোও এখানকার আরও এক আকর্ষণ।