—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
হাওড়া শহরে যানবাহনের শব্দদূষণ কমাতে তৎপর হল হাওড়া সিটি পুলিশ। কান ঝালাপালা করে দেওয়া ট্রাক ও লরির হর্নের উৎপাত কমাতে সাউন্ড লিমিটর যন্ত্র লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারেটের তরফে প্রতিটি থানায় নির্দেশ গিয়েছে, ট্রাক-লরির মতো বড় গাড়িতে সাউন্ড লিমিটর লাগানোর বিষয়ে প্রচারে জোর দিতে হবে।
ট্রাক বা লরি হামেশাই তীব্র শব্দে হর্ন বাজিয়ে যায়। অভিযোগ, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৯০ ডেসিবেল ছাড়িয়ে যায়। যা শব্দদূষণের বড় কারণ। এই প্রবণতা হাওড়া শহরে সব থেকে বেশি বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা। সম্প্রতি শরৎ সদনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে হাওড়ার নগরপালের হাতে কিছু সাউন্ড লিমিটর যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়। ওই সাউন্ড লিমিটর প্রতিটি থানাকে একটি করে দেওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ।
নগরপাল সেগুলিকে থানায় থানায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। হাওড়া সিটি পুলিশ থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, ট্রাক-লরির মতো মালবাহী ভারী গাড়িতে ওই যন্ত্র লাগানোর বিষয়ে প্রচার করতে হবে। নমুনা হিসাবে থানাকে দেওয়া যন্ত্রগুলি ওই সব গাড়ির মালিকদের দেখিয়ে তা লাগাতে বলবেন সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। যে সব গাড়ির কাছে এই প্রচার-বার্তা পৌঁছবে, সেই সব গাড়ির নম্বর নথিভুক্ত করে রাখবে থানাগুলি। প্রচারের পরেও যদি কেউ সাউন্ড লিমিটর যন্ত্র না লাগান, তা হলে ওই নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়ির বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগরপাল প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বললেন, ‘‘প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ট্রাক বা লরিতে সাউন্ড লিমিটর যন্ত্র লাগানোর বিষয়ে প্রচার চালাতে। রাতের রাস্তায় চলা ট্রাক-লরি ধরে ধরে এই প্রচার চালাবে পুলিশ। গাড়ির শোরুম কিংবা গ্যারাজেও এগুলি কিনতে পাওয়া যায়। প্রয়োজনে এ বিষয়ে সাহায্য করবে পুলিশ। বড় গাড়িতেই বাধ্যতামূলক ভাবে এই সাউন্ড লিমিটর লাগাতে হবে। না হলে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হবে।’’ নগরপালের মতে, যাঁরা লক্ষ লক্ষ টাকায় ট্রাক-লরি কিনছেন, তাঁদের ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ করে সাউন্ড লিমিটর যন্ত্র কিনতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।