গাড়িচালকদের জরিমানা পুলিশের। —নিজস্ব চিত্র।
ঝোপ বুঝে কোপ! লকডাউনের সময়ে হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনে নামা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে তাঁদের থেকে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন গাড়িচালকরা। এমনই অভিযোগ একাধিক যাত্রীর। যাত্রীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেও। অবশ্য মঙ্গলবার এই খবর পেয়ে হাওড়া স্টেশন চত্বরে অভিযান চালায় পুলিশ।
লকডাউনের সময় হাওড়া স্টেশনে নেমে বিপাকে পড়েছেন দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে তাঁদের থেকে মোটা টাকা দাবি করে বসছেন গাড়িচালকরা। মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন থেকে নেমে গাড়ির খোঁজ করছিলেন সুজিত দাস নামে এক যাত্রী। গাড়ি পেলেন? জিজ্ঞাসা করতেই ক্ষোভের সুরে সুজিত বললেন, ‘‘ধর্মতলা যাওয়ার জন্য ওরা ৭০০ টাকা ভাড়া চাইছে। এ নিয়ে কাকে অভিযোগ করব? পুলিশ তো নির্বিকার!’’ সুজিতের বক্তব্যের রেশ শোনা গেল চন্দননগরের বাসিন্দা সন্দীপ মালাকারের গলাতেও। বিশেষ ট্রেনে মঙ্গলবার হাওড়া পৌঁছন তিনি। সন্দীপ বললেন, ‘‘আমি চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। এসএসকেএম যাব। কিন্তু কোনও গাড়ি পাচ্ছি না। এসএসকেএম যেতে ৬০০ টাকা ভাড়া চাইছেন চালকরা। পুলিশও নির্বিকার।’’
গাড়িচালকরা অবশ্য বাড়তি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছেন। উল্টে সানি নামে এক চালকের বক্তব্য, ‘‘যাত্রীরা যাতে এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগে না পড়েন সে জন্য আমরা এগিয়ে এসেছি। পুলিশ তো কোনও গাড়ির ব্যবস্থাই করেনি।’’ রাস্তায় বেরোলে পুলিশ ধরছে না? প্রশ্ন শুনে এক চালক বলে দিলেন, ‘‘লকডাউনে কোনও অনুমতি লাগে না। শুধু রেলের টিকিট থাকলেই হল। তেমন হলে পুলিশকে আমরা ম্যানেজ করে নেব।’’
মঙ্গলবার অবশ্য হাওড়া স্টেশন ট্রাফিক পুলিশের তরফে শুরু হয় অভিযান। হাওড়া স্টেশন চত্বরে বেশ কয়েক জন চালককে মোটা টাকা জরিমানাও করা হয়। আগামী দিনেও অভিযান চালানো হবে বলে আশ্বাস পুলিশের।