নিজস্ব চিত্র
হাওড়ায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে হুড়োহুড়ি করে ঢুকতে গিয়ে আহত হলেন বেশ কয়েকজন। লাইনের চাপে সামনের সারির কয়েকজন মাটিতে পড়ে যাওয়া পর পিছনের ভিড় তাঁদের পা মাড়িয়ে চলে যায় বলে উঠল অভিযোগ। যদিও এমন পরিস্থিতির কথা অস্বীকার করেছে জেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন স্কুলে এখন দুয়ারে সরকারের শিবির হচ্ছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প করে নাম নথিভুক্ত করার কাজ চলছে সেখানে। এই পরিষেবা নিতে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র দেখা যাচ্ছে একই ছবি। ভোর-রাত থেকে লাইন দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি।
তেমনই হাওড়ার বালুটিকারি মুক্তারাম দে হাইস্কুলে বৃহস্পতিবার প্রচুর মানুষ ভোররাত থেকেই লাইন দিয়েছিলেন। তারপর সকাল দশটা নাগাদ যখন স্কুলের গেট খোলা হয়, তখনই হুড়মুড়িয়ে ঢুকতে গিয়ে কয়েকজন মহিলা মাটিতে পড়ে যান বলে জানিয়েছেন প্রতক্ষ্যদর্শীরা। সেই পরিস্থিতিতে লাইনের পিছনে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এগোতে গিয়ে সামনে থাকা মানুষদের পা মাড়িয়ে চলে যান বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তাতেই আহত হন বেশ কয়েকজন।
যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে হাওড়া সদরের মহকুমা শাসক তরুণ ভদ্র বলেছেন, ‘‘এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভিড় হয়েছিল। কয়েকজন সামান্য অসুস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে বালিটিকুরির স্কুলে আসে হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী। তার সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে। তাঁদের দাবি, সরকারের এই প্রকল্পগুলি নিশ্চিত ভাল উদ্যোগ, কিন্তু কেন ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে না? কেন বারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে? এরপর তো আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, ‘‘গোটা রাজ্য থেকে এমন ঘটনার খবর আসছে। তাই কী ভাবে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তার জন্য সরকার থেকে আলাদা করে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।’’