শ্রাবণী মেলায় বিধিনিষেধ তারকেশ্বরে।
Tarakeshwar

Tarakeshwar: বাঁক নিয়ে যাত্রা নিষেধ শৈবতীর্থে

গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে শ্রাবণী মেলা শুরু হয়। চলে রাখিপূর্ণিমা পর্যন্ত।

Advertisement

দীপঙ্কর দে

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২১ ০৭:৩১
Share:

প্রায় ফাঁকা তারকেশ্বর মন্দির। শুক্রবার। ছবি: দীপঙ্কর দে।

করোনা আবহে গত বছর তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা বসেনি। এ বার ভক্তদের জন্য মেলার সময় মন্দির খোলা থাকলেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সময় বাঁকে জল নিয়ে এসে শিবের মাথায় ঢালেন। সেই প্রথা বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ, বাঁকে জল নিয়ে যাওয়া যাবে না।

Advertisement

গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে শ্রাবণী মেলা শুরু হয়। চলে রাখিপূর্ণিমা পর্যন্ত। আগামী ২৪ জুলাই গুরুপূর্ণিমা। বুধবার সন্ধ্যায় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। মন্দির সূত্রের খবর, ভক্তদের ঢোকা-বেরনোর জন্য পৃথক গেটের ব্যবস্থা থাকবে। ১, ২ এবং ৪ নম্বর গেট দিয়ে মন্দিরে ঢোকা যাবে। বেরোতে হবে ৫ এবং ৬ নম্বর গেট দিয়ে। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ২টো এবং সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। তবে, গর্ভগৃহে প্রবেশ করা যাবে না। চোঙার মাধ্যমে শিবের মাথায় জল ঢালতে হবে।

দণ্ডীস্বামী সুরেশ্বর আশ্রম মোহন্ত মহারাজ বলেন, ‘‘মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য লিখিত ভাবে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে ঢোকার আগে ভক্তদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থার আবেদন জানানো হয়েছে। এক সঙ্গে ২০০ জনের বেশি দর্শনার্থীকে মন্দির চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’

Advertisement

শেওড়াফুলির নিমাইতীর্থ ঘাট-সহ গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট থেকে জল তুলে বাঁক কাঁধে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী হেঁটে তারকেশ্বরে আসেন। ওই সব ঘাটের আশপাশ থেকে শুরু করে তারকেশ্বর মন্দির চত্বর পর্যন্ত বহু অস্থায়ী দোকানপাট বসে। সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করছেন, বিধিনিষেধের কারণে দোকানপাট সে ভাবে বসবে না। ব্যবসা মার খাবে। এই প্রসঙ্গে মোহন্ত মহারাজের বক্তব্য, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে তাঁর অনুরোধ, জেলার অন্যান্য মন্দিরেও যেন একই বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement