পেঁয়াজের দরে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতার
Sufal Bangla

হুগলিতে ৫ ‘সুফল বাংলা’য় তালা, ই-মেল গেল নবান্নে

সুলভে আনাজ বিক্রির জন্যই একসময়ে ওই স্টলগুলি চালু করেছিল কৃষি বিপণন দফতর। দফতর সূত্রের খবর, হুগলিতে মোট ৬টি স্থায়ী স্টল ছিল এবং ৭টি আনাজের গাড়ি চালানো হত কয়েক বছর আগেও।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় 

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:২২
Share:

বন্ধ উত্তরপাড়া সখের বাজারের সুফল বাংলা স্টল। নিজস্ব চিত্র

উৎসবের মরসুমেও পেঁয়াজের দাম কমেনি। এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে ৭০-৭৫ টাকা খসছে সাধারণ মানুষের। ভাল মানের পেঁয়াজের দাম আরও বেশি। প্রায় ৮০ টাকা। কলকাতায় তবু ‘সুফল বাংলা’র স্টলে ৫৫ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ মিলছে। কিন্তু হুগলিতে সে সুযোগও প্রায় নেই। এখানে ‘সুফল বাংলা’র ছ’টি স্টলের মধ্যে পাঁচটিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

জেলায় কেন ওই স্টলগুলি খোলা হয়েছিল, কেনই বা ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। একটি নাগরিক সংগঠনও এ নিয়ে সরব। তারা মনে করছে, স্টলগুলি খোলা থাকলে কিছু মানুষের অন্তত সুরাহা হত। এ নিয়ে তারা নবান্নেরও দ্বারস্থ হয়েছে।

সুলভে আনাজ বিক্রির জন্যই একসময়ে ওই স্টলগুলি চালু করেছিল কৃষি বিপণন দফতর। দফতর সূত্রের খবর, হুগলিতে মোট ৬টি স্থায়ী স্টল ছিল এবং ৭টি আনাজের গাড়ি চালানো হত কয়েক বছর আগেও। একটা সময়ে উত্তরপাড়ার শখের বাজার, শ্রীরামপুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া এবং আরামবাগে সুফল বাংলার স্থায়ী স্টল ছিল। তা বাদেও আলু, পেঁয়াজ-সহ নানা আনাজের পসরা নিয়ে সুলভে বিক্রির জন্য জেলার মোট সাতটি ভ্যান ঘুরত। কিন্তু সে সবই এখন অতীত। একমাত্র চুঁচুড়ায় টিম টিম করে চললেও জেলার অন্য ‘সুফল বাংলা’র স্টল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

উত্তরপাড়ার শখের বাজারে প্রাক্তন কৃষি বিপণনমন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত একটি ‘সুফল বাংলা’র স্টল উদ্বোধন করেছিলেন। বর্তমানে সেটির ঝাঁপ বন্ধ। যদিও হোর্ডিংটা এখনও আছে। শাটারে মরচে পড়ে গিয়েছে। সপ্তগ্রামের বর্তমান বিধায়ক তপনবাবু এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

ঠিক কী কারণে স্টলগুলি বন্ধ হল, সে প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি। কৃষি বিপণনমন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, ‘‘চুঁচুড়ার বিপণন কেন্দ্রটি চালু আছে জানি। অন্যগুলোর ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বলতে হবে।’’

কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে ত্রিশেরও বেশি স্টলে বর্তমানে সুলভে পেঁয়াজ বিক্রি করছে কৃষি বিপণন দফতর। সে প্রসঙ্গ তুলে হুগলির নাগরিক সংগঠন ‘সিটিজেনস্ ফোরাম’-এর সদস্যেরা ইতিমধ্যেই নবান্নে ই-মেল করে এই জেলার স্টলগুলির অবস্থার কথা জানিয়ে তা খোলার আবেদন করেছে।

ফোরামের কর্ণধার শৈলেন পর্বত বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ পেঁয়াজের দামে জেরবার। গরিব মানুষ পেঁয়াজ, লঙ্কা আর ভাতেই অভ্যস্ত। কিন্তু কেন্দ্র বা রাজ্য, কারও হুঁশই নেই পেঁয়াজের দাম নিয়ে। কলকাতায় তা-ও ‘সুফল বাংলা’র স্টল থেকে সুলভে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমরা কী দোষ করলাম? কৃষি বিপণনমন্ত্রী এই জেলার বাসিন্দা। অথচ, জেলায় স্টলগুলি বন্ধ। নবান্নে ই-মেল করেছি।’’

বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘আমাদের জেলার মন্ত্রীর বাস। কিন্তু সুফল বাংলার সব বিপণন কেন্দ্রই বন্ধ। সাধারণ মানুষের উপকারে লাগে, এমন কোনও কাজ শাসকদল করবে না বলে জেদ ধরলে তো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement