sankrail

দূষণে লাগাম দিতে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সাঁকরাইলে

গৃহস্থালির কাজে যে জল ব্যবহার করা হয়, তাকে বলা হয় ‘গ্রে-ওয়াটার’ বা ‘ধূসর জল’।  সেই জল পুকুরে, নদীতে বা অন্য জলাশয়ে মিশলে  রোগ ছড়ানোর সম্ভবনা রয়েছে  বলে মত পরিবেশবিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:৪১
Share:

সাঁকরাইলের বিডিও অফিসের কাছে চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র 

দূষণে লাগাম দিতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সাঁকরাইল ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতে এ বার ধূসর জল পরিশোধনেরও পরিকল্পনা নিল ব্লক প্রশাসন। সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, “ কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ উদ্যোগে মোট ১২টি পঞ্চায়েতে ডেওয়াটস ও বাকি চারটিতে ম্যাজিকপিট, সোকপিট, লিচপিট তৈরি করে তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করা হচ্ছে। অধিকাংশ কাজের ওয়ার্ক ওর্ডার দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে। বাকিগুলিতেও দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’

Advertisement

গৃহস্থালির কাজে যে জল ব্যবহার করা হয়, তাকে বলা হয় ‘গ্রে-ওয়াটার’ বা ‘ধূসর জল’। সেই জল পুকুরে, নদীতে বা অন্য জলাশয়ে মিশলে রোগ ছড়ানোর সম্ভবনা রয়েছে বলে মত পরিবেশবিদের। সেই ধূসর জলকে বিশুদ্ধ করে অন্য জলাশয়ে বা নদীতে ফেলা গেলে দূষণের পরিমাণ কমে। সেই লক্ষ্যেই তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শুরু করাহয়েছে ব্লকে।

সাঁকরাইল ব্লকে ব্লকের এক ধার দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা। আর অন্য দিকে এই ব্লকের অনেকগুলি পঞ্চায়েত ছুঁয়ে বয়ে চলেছে সরস্বতী নদী। ইতিমধ্যে দক্ষিণ সাঁকরাইল, নলপুর, সারেঙ্গা, রঘুদেববাটী—এই চারটি পঞ্চায়েতে সোকপিট, ম্যাজিকপিট, লিচপিটের মাধ্যমে ধূসর জল ওই দুই নদীতে ফেলা হচ্ছে। বাকি ১২টি পঞ্চায়েতে তরল বর্জ্য শোধন করা হবে ডেওয়াটস ব্যবস্থার মাধ্যমে। সাঁকরাইল ব্লকে চলছে পাইলট প্রকল্পের কাজ।

Advertisement

এরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম। নদীতে ধূসর জল মিশলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্য দিকে সেই জল চাষের কাজে ব্যবহার করলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষিকাজ।’’ তিনি জানান, জাতীয় সবুজ আদালত রাজ্যকে এইকাজের জন্যে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার তহবিল করার নির্দেশ দিয়েছে। যার মধ্যে শুধু তরল বর্জ্যব্যবস্থার জন্যই বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement