fishing cat

বাঘ নয় ওরা বাঘরোল, পিটিয়ে না মেরে খবর দিন বন দফতরে! প্রচার হাওড়ার সাঁকরাইলে

মঙ্গলবার আন্দুলে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সচেতনতার প্রচার। তথ্যচিত্র মাছবাঘা ও নানা ছবি-ভিডিয়ো বক্তৃতার মাধ্যমে হয় বাঘরোল বাঁচানোর আবেদন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া   শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ২৩:৩৫
Share:

বক্তৃতার মাধ্যমে চলছে বাঘরোল বাঁচানোর আবেদন। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্য প্রাণী বাঘরোলকে বাঁচাতে প্রচারে নামল হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন। সঙ্গী হলেন, স্থানীয় বন্যপ্রাণপ্রেমীরা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে সাঁকরাইলের কিছু গ্রামে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশ রাতে লাঠি, টর্চ নিয়ে বাঘ খুঁজতে বেরনোয় তৈরি হয়েছে অন্য আশঙ্কা— হাওড়া জেলার ওই জলাজমি অধ্যুষিত অঞ্চলের বাসিন্দা বাঘরোলদের (ফিশিং ক্যাট) নিরাপত্তার।

এই পরিসস্থিতিতে সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরউদ্দিন সরকার এবং পঞ্চায়েত সমিতি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে হাওড়া জেলার বন দফতর এবং মানুষ-বন্যপ্রাণী সংঘাত ও বাঘরোল সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা ‘হাওড়া যৌথ পরিবেশ সমিতি’র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, গ্রামবাসীদের সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া ও বাঘরোল সংরক্ষণের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য প্রচার চালানো শুরু হয় মঙ্গলবার থেকে।

Advertisement

মঙ্গলবার আন্দুলে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সচেতনতার প্রচার। তথ্যচিত্র মাছবাঘা ও নানা ছবি-ভিডিয়ো বক্তৃতার মাধ্যমে হয় বাঘরোল বাঁচানোর আবেদন। উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষক তথা হাওড়া যৌথ পরিবেশ সমিতির সম্পাদক শুভ্রদীপ ঘোষ। তিনি জানান, এর আগে ডোমজুড়, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া-২-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতা প্রচারে সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের মন থেকে ‘বাঘ আতঙ্ক’ দূর হয়েছে। বাঘরোল পিটিয়ে মারার ঘটনা বন্ধ হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement