Garchumuk

অবাধে গঙ্গা থেকে বালি ‘চুরি’ চলছে গড়চুমুকে

নদী থেকে বালি তুলতে হলে সেচ দফতরের অনুমতি লাগে। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় বালি মজুত করার কাজের তদারকিতে থাকা এক ব্যক্তির দাবি, ১০ বছর ধরে এই ব্যবসা চলছে।

Advertisement

সুব্রত জানা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ০৮:৪০
Share:

গঙ্গা থেকে নৌকায় করে বালি তুলে জমা করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

প্রতিদিন সকালে গঙ্গায় নেমে যাচ্ছে একের পর এক নৌকা। মাঝনদীতে সেই সব নৌকায় বালি তোলা হচ্ছে। এনে জমা করা হচ্ছে গড়চুমুকে নদীর পাড়ের কাছে।

Advertisement

রোজ বহু মানুষের সমাগম হয় হাওড়া জেলার অন্যতম ওই পর্যটনকেন্দ্রে। সেটি দেখভাল করে জেলা পরিষদ। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকে। তা ছাড়া, গড়চুমুক পুলিশ ফাঁড়ি মাত্র ১০০ মিটার দূরে। কিন্তু নদী থেকে বালি চুরি এবং তা জেলা পরিষদের জমিতে ডাঁই করে রাখা কারও চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, প্রকাশ্যেই বেআইনি বালি কারবার চালাচ্ছে কিছু লোক। অথচ, প্রশাসনের হুঁশ নেই। এখান থেকে ছোট ট্রাকে করে বালি চলে যাচ্ছে নানা জায়গায়।

নদী থেকে বালি তুলতে হলে সেচ দফতরের অনুমতি লাগে। এ নিয়ে প্রশ্ন করায় বালি মজুত করার কাজের তদারকিতে থাকা এক ব্যক্তির দাবি, ১০ বছর ধরে এই ব্যবসা চলছে। বেশ কিছু মানুষের রোজগার হয়। এটা সবাই জানেন।

Advertisement

জেলা সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। নদীর যেখান-সেখান থেকে বালি তুললে বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। নদীর গতিপথ বদলে যেতে পারে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।’’ প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই এই পর্যটনকেন্দ্র থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে বাসুদেবপুরে প্রায় ৩০০ ফুট নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।

হাওড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য অবশ্য জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘ওখানে শুধু বেআইনি ভাবে বালি তুলে বিক্রি নয়, নানা অসামাজিক কাজকর্মও চলছে। কেউ কেউ অবৈধ ভাবে জায়গা দখল করছে। শীঘ্রই জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনকেও বলব নজর রাখতে।’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বেশ কয়েকবার ওখানে বালি তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শীতে চড়ুইভাতির মরসুমে পুরোপুরি বন্ধ ছিল। আবার যদি বালি তোলা শুরু হয়ে থাকে, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

গড়চুমুকে দামোদর এসে মিশেছে গঙ্গায়। এখানে একদিকে রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা ও পার্ক, অন্যদিকে খোলা জায়গা। যেখানে শীতের মরসুমে হাজার হাজার লোক চড়ুইভাতি করতে আসেন। যে কোনও দিন গেলেই দেখা যাবে, নদীর পাড়ের কাছে বাঁধা নৌকায় সাদা বালির স্তূপ। সেই বালি ঝুড়িতে তুলে এনে ফে‌লা হচ্ছে নদীর ধারে জেলা পরিষদের জায়গায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement