—প্রতীকী চিত্র।
আর জি কর-কাণ্ডের জেরে রাজ্য উত্তাল। এই আবহে উলুবেড়িয়া পুরসভায় বিগত লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস এবং দলের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার কর্তারা। মঙ্গলবার থেকে উলুবেড়িয়ায় ঘাঁটি গেড়েছেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনে পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের পুরসদস্যদের (কাউন্সিলর) সঙ্গে সরাসরি কথা বলাও শুরু করেছেন। পিছিয়ে পড়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর।
এ ব্যাপারে অবশ্য প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের কোনও নেতা। উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের এক তৃণমূল নেতা ‘দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে, গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, শুধু পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডের পুরসদস্যদের নয়, পর্যায়ক্রমে দলের সব পুরসদস্যদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুর এলাকায় দলের সামগ্রিক পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করা হবে। ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ‘ক্ষত’ মেরামত করার জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূলের দখলে আছে ২৮টি। বিগত লোকসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। দু’টি ওয়ার্ডে তারা এগিয়ে ছিল খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে।
পুরসভা এলাকাটি পড়ে উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় তৃণমূল এগিয়েছিল ২৪ হাজারের বেশি ভোটে। তবুও পুরসভার নিজেদের দখলে থাকা ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টিতে পিছিয়ে পড়ার ঘটনা চিন্তায় ফেলে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বকে।