Child death

সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে শিবপুরে বেসরকারি হাসপাতালে উত্তেজনা! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ

হাওড়ার বি গার্ডেন থানা এলাকার বাঙালপাড়া সেকেন্ড বাই লেনের বাসিন্দা সমিতা মিত্রকে শনিবার সকালে শিবপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিবপুর শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৬
Share:

হাসপাতালের সামনে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

এক সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার শিবপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকের গাফিলতিতে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এ নিয়ে রবিবার ওই বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে শিবপুর থানার পুলিশ এলে রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বিপাকে পড়ে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার বি গার্ডেন থানা এলাকার বাঙালপাড়া সেকেন্ড বাই লেনের বাসিন্দা সমিতা মিত্রকে শনিবার সকালে শিবপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই দিন দুপুরে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই প্রসূতি। কিন্তু বিকেলের দিকে সদ্যোজাতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তার পরে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

ঝুমা হাজরা নামে সমিতার এক আত্মীয়ার অভিযোগ, ‘‘বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থা যে খারাপ, তা আগে আমাদের জানাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একে তো আমাদের দেরিতে খবর দেওয়া হয়, তার পর বলা হয়, বাচ্চাটিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে।’’ তিনি আরও জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো এর পর হাওড়া হাসপাতালে সদ্যোজাতকে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু রবিবার তার মৃত্যু হয়েছে। এর পরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করে বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে মৃত শিশুটির পরিবার।

Advertisement

রবিবার বিকেলে উত্তেজনা তীব্র হয়। ওই হাসপাতালের তরফে পুলিশে খবর পাঠানো হয়। পাশাপাশি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতির হওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। জন্ম থেকে শিশুটির একটি সংক্রমণজনিত অসুখ ছিল। যদিও এ কথা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তারা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে যে, প্রথমে হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র নিতে চায়নি তারা।

দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement