— প্রতীকী চিত্র।
ভাড়াটে বনাম বাড়িমালিকের বিবাদের পর পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছিল দুই পক্ষ। তার পর আচমকাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান বাড়িমালিক। দু’দিন তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে হুগলি স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে উদ্ধার হল প্রৌঢ়ের দেহ। এই ‘রহস্যমৃত্যু’ ঘিরে চাঞ্চল্য চন্দননগরের মোল্লাহাজি এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের নাম শঙ্কর দাস। পরিবার সূত্রে খবর, ৫৪ বছর বয়সি টোটোচালকের বাড়িতে চারটি পরিবার ভাড়া থাকে। অভিযোগ, ওই ভাড়াটেদের মধ্যে একটি পরিবার পাশে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি সেখানে চলে যায়। কিন্তু ভাড়ার ঘর তারা ছাড়েনি। এ নিয়ে অশান্তি শুরু হয়।নিয়মিত বাড়িভাড়া এবং বিদ্যুতের বিল মেটানো দুই পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। ভাড়াটে উচ্ছেদ করতে শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাড়িমালিক। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। এর মধ্যে বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নোটিস আসে। তখন শঙ্কর নাকি বাড়ির বিদ্যুতের মেন সুইচ অফ করে দেন। প্রায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন হয়ে ছিল ভাড়াটেদে ঘর। তিন ভাড়াটে এর পর চন্দননগর থানায় গিয়ে বাড়িমালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৬ অগস্ট থানায় ডাকা হয় ওই বাড়িওয়ালাকে। পরিবারের দাবি, পুলিশ শঙ্করকে ভয় দেখায়। সে দিন সন্ধ্যায় থানা থেকে ফেরেন শঙ্কর। পর দিন বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শঙ্কর। আর বাড়ি ফেরেননি। সে দিন রাতেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। খোঁজখবর চলতে থাকে। অবশেষে থানা থেকে খবর আসে দেহ উদ্ধারের। জিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন প্রৌঢ়। মঙ্গলবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শঙ্করের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় চন্দননগরে তাঁর বাড়িতে। তার পরেই উত্তেজনার ছড়িয়েছে। যে ভাড়াটের সঙ্গে অশান্তি ছিল, তাঁর দোকান ভাঙচুর করেন কয়েক জন। মৃতের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে।