Uttarpara

ফের লোডশেডিং, গরমে ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরপাড়ায়

এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সিইএসসি। তারা জানিয়েছে, ট্রান্সফর্মার ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি হয়। বিদ্যুৎ ফেরাতে দ্রুত কাজ শুরু করেন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১৫
Share:

ট্রান্সফর্মার বিকল হওয়ায় পরীক্ষা করছেন সিইএসসি-র কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

সোম, মঙ্গলের যাতনার পরে স্বস্তি মিলেছিল বুধবার। বৃহস্পতিবার আবার লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ল উত্তরপাড়া পুরসভার একাংশ। ঘেমেনেয়ে একসা হলেন বাসিন্দারা। কাজকর্ম শিকেয় উঠল। এই প্রচণ্ড গরমে কেন এই পরিস্থিতি বার বার হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলছেন মানুষ।

Advertisement

এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সিইএসসি। তারা জানিয়েছে, ট্রান্সফর্মার ফেটে যাওয়াতেই বিপত্তি হয়। বিদ্যুৎ ফেরাতে দ্রুত কাজ শুরু করেন সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে পর পর দু’টি ট্রান্সফর্মার ফেটে যায়। তার জেরেই ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কবি কিরণধন রোড, দোলতলা, পালতের মাঠ, মালিকপাড়া-সহ বড় এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে যাঁরা অফিসের কাজ (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) করেন, বিদ্যুতের অভাবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েন। মাথার উপরে পাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একটু শান্তির খোঁজে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন গলদঘর্ম মানুষজন। বয়স্ক এবং শিশুদের রীতিমতো কষ্ট হয়েছে। দাবদাহ থেকে একটু আরাম পেতে অনেকেই হাতপাখা নেড়েছেন। রাত সাতটার পর কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ আসে। কিন্তু তাতে মানুষের কষ্ট বা ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।

Advertisement

সিইএসসি-র কর্মীরা দ্রুত কাজ শুরু করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ফেরেনি। কর্মরত সিইএসসি কর্মীদের বক্তব্য, এক দিকে প্রচণ্ড গরম, তার উপরে বহু বাড়িতেই একাধিক এসি চলায় বিদ্যুতের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। তার ফলেইঘন ঘন ট্রান্সফর্মার বিগড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সাধারণ মানুষ অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন, গরম প্রতি বার পড়ে। এসি-ও চলে। কিন্তু, একটু বিরুদ্ধ পরিস্থিতি হলেই সিইএসসি-র বিদুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা কেন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে? গত সোম এবং মঙ্গলবারেও এই দুই ওয়ার্ডে লোডশেডিং হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেবাইপুকুরের ব্যাঙ্ক কলোনি এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য।

কবি কিরণধন রোডের এক বৃদ্ধের বক্তব্য, ‘‘এই গরমে বার বার লোডশেডিংয়ে আর পারা যাচ্ছে না। সিইএসসি-র কাছে স্থায়ী সমাধান চাইছি। রোজ রোজ এ ভাবে চলতে পারে না।’’ ভদ্রকালীর রামসীতা ঘাট স্ট্রিটের বাসিন্দা, বৃদ্ধা পারুল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ভ্যাপসা গরমে পাখা ছাড়া থাকা যায়? আমার মনে হয়, জোড়াতাপ্পি দিয়ে সারানো হচ্ছে। ভাল করে না সারানোর জন্যই বার বার খারাপ হচ্ছে।’’

সিইএসসি-র তরফে অবশ্য সাফাই, প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থায় যে কোনও সময়ই সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে তীব্র গরম। তাই এত কথা উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement