ট্রফি হাতে জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় সোনাজয়ী রাতুল।
পরপর জয় আরও বড় স্বপ্ন দেখাচ্ছে সাঁকরাইলের দরগাতলার বাদামতলার বছর একুশের রাতুল সাহাকে। বড় প্রতিযোগিতায় যেতে হলে খরচ বাড়ে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের রাতুনের ভাবনা সেখানেই। রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় যোগাসন প্রতিযোগিতায় সদ্য সোনার পদক জিতে ফিরেছেন রাতুল। এ বার লক্ষ্য যোগা এশিয়াডে সোনাজয়। কিন্তু অর্থসঙ্কট কাটিয়ে সেখানে যোগদান নিয়ে চিন্তিত তিনি।
তিন বছর বয়স থেকে যোগাসনে হাতেখড়ি রাতুলের। ছোটবেলা থেকেই তিনি যে প্রতিযোগিতাতেই গিয়েছেন, পুরস্কৃত হয়েছেন। সত্যেন বোস রোডে রাতুলের বাবা তরুণ সাহার রয়েছে একটি দুগ্ধজাত জিনিস সরবরাহের দোকান। কিন্তু শুধু সেখানের রোজগারের সংসার চলে না। তাই বিকেলে অন্য একটি সংস্থায় কাজ করেন তরুণবাবু।
রাতুলের মা গহবধূ তুলি সাহা ২০১২ সালে যোগাসন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পদকজয়ী। তিনি বলেন, ‘‘ছোটবেলায় রাতুল মোটা হয়ে যাওয়ায় যোগাসনে ভর্তি করি। তারপর থেকে ওটাই ওর ধ্যানজ্ঞান।’’ চলতি বছরে রাজ্যের তরফে ৩৬জন প্রতিযোগী গিয়েছিলেন ৪৭তম জাতীয় প্রতিযোগিতায়।সেখানে যোগ দিয়েছিল ২৮টি রাজ্য। সেরা হয় পশ্চিমবঙ্গ, দ্বিতীয় হরিয়ানা ও তৃতীয় হয় আয়োজক রাজ্য রাজস্থান। প্রতিযোগিতার ১৮-৩৫বছর বয়সী সিনিয়র গ্রুপে সোনা পেয়েছেন রাতুল।
রাতুলের রাতুলের বাবা তরুণবাবু বলেন, ‘‘ছেলে এশিয়াডে যোগ দিতে চায়। জানি না, কী ভাবে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করব!’’
রাতুলের কথায়, ‘‘দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চাই। সেই কারণেই যোগা এশিয়াডে যেতে চাই। এশিয়ার মধ্যে যোগাসনে ওটাই শ্রেষ্ঠ। স্বপ্নপূরণ হবে কি না জানি না।’’