অভিযুক্তের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ আইনজীবীর বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
মাদক মামলায় অভিযুক্ত স্বামী। তাঁর স্ত্রীকে আইনি সাহায্য দেওয়ার নাম করে ফোনে অশালীন মেসেজ এবং কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা হুগলির চুঁচুড়ার। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই আইনজীবী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চুঁচুড়ার সুকান্তনগরের এক তরুণকে ২০২০ সালে মাদক মামলায় গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। বর্তমানে তিনি হুগলি সংশোধনাগারে বন্দি। মামলা লড়তে ব্যক্তিগত ভাবে আইনজীবী বহাল করার সামর্থ নেই তাঁর পরিবারের। তাই আইনি সাহায্যের জন্য লিগাল এডে আবেদন করেছিলেন ওই বন্দির স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, গত ১২ মে চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী অলকেশ পাণ্ডে যুবকের স্ত্রীকে আদালতে ডাকেন। অভিযোগ , এর পর ওই মহিলাকে হোয়াটসঅ্যাপে একের পর এক অশালীন বার্তা পাঠান তিনি। মহিলার দাবি, তিনি লেখাপড়া জানেন না। তাঁর বোন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখে বিষয়টি দিদিকে জানান। এর পরই ওই আইনজীবীর নম্বর ব্লক করে দেন মহিলা। এ নিয়ে চুঁচুড়া থানায় গত ৯ জুন অভিযোগ দায়ের করেন। বুধবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ওই অভিযোগকারিণী।
এ নিয়ে অভিযুক্ত অলকেশের দাবি, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি উত্তরপ্রদেশে ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’
এই ঘটনা নিয়ে চুঁচুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। যা অভিযোগ তাতে সরকারি আইনজীবীদের সুনাম নষ্ট হয়েছে। মহিলা ওই অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করেছিলেন। আমি বলেছিলাম, পুলিশে অভিযোগ করতে। আদালত এর বিচার করবে। যদি সরকারি প্যানেলভু্ক্ত আইনজীবী দোষী হয় তা হলে আইনে যা হওয়ার তা তো হবেই। পাশাপাশি আমরাও ব্যবস্থা নেব।’’