প্রতীকী ছবি।
এ বার ডেঙ্গি মোকাবিলাতেও তৎপর হল হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা। এ জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে রাসায়নিক ছড়িয়ে মশার লার্ভা ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার তরফে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ানো হয়েছে লার্ভিসাইডের জোগানও।
বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব। তবে বর্ষা চলে যাওয়ার সময়ে অর্থাৎ অগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা সব চেয়ে বেশি। তাই এখন থেকেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে চাইছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, গত বছর লকডাউনের সময়ে ডেঙ্গির সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম ছিল। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮৩। সেই ধারা এ বারেও রাখতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ে পুরসভার সঙ্গে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১০ জন ডেঙ্গি রোগীর সন্ধান মিলেছে। তাঁদের মধ্যে আট জনের বাড়ি হাওড়া পুর এলাকায়। বাকি দু’জনের মধ্যে এক জনের বাড়ি বালি-জগাছা ব্লকে, অন্য জন পাঁচলা ব্লকের বাসিন্দা।
নিতাইবাবু জানান, ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কিছু জায়গায় গাপ্পি মাছের চারা ছাড়া হয়েছে। তা ছাড়া, মশার লার্ভা ধ্বংসকারী তেল লার্ভিসাইডও ছড়ানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘শুধু ডেঙ্গি নয়, মশা-সহ পতঙ্গবাহিত সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। বিভিন্ন এলাকায় পুরসভার যে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম রয়েছে, তাদের সক্রিয় করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গি সচেতনতায় প্রচার শুরু করেছেন। কারও জ্বর হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গির পরীক্ষা করানোরও পরামর্শ দেবেন তাঁরা।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, সীমিত সংখ্যক কর্মী নিয়েও করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গি রোধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।