—প্রতীকী চিত্র।
লোডশেডিং পিছু ছাড়ছে না উত্তরপাড়ার। দু’টি ভিন্ন কারণে শনিবার রাতের পরে রবিবার সকালেও গরমে ভুগতে হল এ শহরের বহু বাসিন্দাকে।
শনিবার রাত ১১টা নাগাদ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তি সঙ্ঘ মোড়ের কাছে একটি বাতিস্তম্ভে হঠাৎই আগুন দেখা যায়। তারপর লাগোয়া এলাকায় রাস্তার পাশে থাকা সিইএসসি-র ট্রান্সফর্মারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তার জেরেই ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে লোডশেডিং হয়ে যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আগুন নেভায়।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার সকালে ১২ নম্বর ওয়ার্ডেরই ভদ্রকালী ক্যাম্পের মোড় লাগোয়া একটি তেলকলের ভিতরে সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা জায়গায় একটি বড় আম গাছ ভেঙে পড়ে। সেই ভাঙা গাছের ডাল আছড়ে পড়ে রাস্তার বাতিস্তম্ভের উপরে। তার জেরে ১২ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অনেকটা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। পুরপ্রধান দিলীপ যাদব ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেঙে পড়া গাছটির ডাল পুরকর্মীদের দিয়ে সরানোর ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় সিইএসসি-কে। তবে, বিদ্যুৎ ফিরতে বেলা গড়িয়ে যায়।
শনিবার রাতের ঘটনার জেরে এলাকাবাসীর ঘুম নষ্ট হয়। তাঁরা দাবি করেন, মেরামতের কাজ শুরু করে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর ব্যবস্থা করুন সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। যতক্ষণ তা না হয়, ততক্ষণ জেনারেটরের মাধ্যমে বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, তীব্র গরমে বিদ্যুৎ ছাড়া বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। সিইএসসি কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেন। এলাকাবাসীর দাবি মেনে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়। তাতে স্বস্তি মেলে মানুষের। বিদ্যুৎ ফিরতে রাত ৩টে বেজে যায়।
গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরপাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। প্রবল গরমে মানুষজন নাকাল হচ্ছেন। সিইএসসি কর্মীদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনাও ঘটেছে। বার বার বিদুৎ চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে এ দিনও সিইএসসি-র আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষিত না হওয়ায় বিকল হয়ে যাচ্ছে যন্ত্রপাতি। তাই বারবার একই ঘটনা ঘটেছে।