নিজস্ব চিত্র।
সে দিন পোলিও টিকা না নেওয়া যে কত বড় ভুল ছিল আজ তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন। হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভার অন্তর্গত শুভরআরা গ্রামের শাহ পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল শাহ এবং সবেদা বিবির মেয়ে রুকসা খাতুন এখন চলাফেরা করতে পারলেও মাঝে মাঝে পায়ে প্রচন্ড ব্যথা হয়। তখন কার্যত চলাফেরা করাই দায় হয়ে পড়ে।
ছোটবেলায় অসুস্থতার কারণে মেয়েকে টিকা দিতে পারেননি। আট মাস বয়সে বেলেঘাটা আইডিতে প্রায় তিন মাস ভর্তি ছিল রুকসা। তের বছর বয়সে তার পা বেঁকে যায়। ধরা পড়ে পোলিও। ২০১১ সালে শেষবারের মতো পোলিও আক্রান্ত শিশুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল হাওড়ার পাঁচলায়। সেই শিশু হয় রুকসা। সেই সময় তাকে দেখতে গ্রামে ছুটে এসেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। সেই রুকসার বয়স এখন বারো। স্থানীয় সিদ্ধেশ্বর শঙ্কর পাঠশালা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। হাঁটতে-চলতে গেলে মাঝে মাঝে পায়ে তীব্র যন্ত্রণায় জানান দিয়ে যায় পোলিও-র অস্তিত্ব।
জরি শিল্পী সবেদা বিবি চান গ্রামের আর কেউ যেন তাঁদের মতো ভুল না করে। নিজের গ্রামের মানুষদের বোঝান। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে রুকসাও থাকে মায়ের সঙ্গে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।