তখনও চলছে গণ্ডগোল।
খানাকুলের ঘোষপুর হাটতলায় দলীয় কার্যালয় দখল নিয়ে অশান্তিতে জড়াল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। কার্যালয় দখল ঘিরে এক পক্ষ অন্যপক্ষকে ঘেরাও করে রাখে প্রায় আড়াই ঘন্টা। রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ এসে আটকদের উদ্ধার করে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে খবর, অঞ্চলের পুরনো নেতা ইলিয়াস চৌধুরীর দখলে থাকা কার্যালয়টি ২০১৭ সাল থেকে দখল নেয় ঘোষপুর পঞ্চায়েত প্রধান তথা জেলা ছাত্র সংগঠনের সাধরণ সম্পাদক হায়দার আলি গোষ্ঠী। সম্প্রতি ইলিয়াসকে দলের তরফ থেকে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির পদ দেওয়া হয়। হায়দার আলির অভিযোগ, “ইলিয়াস কার্যালয়ের চাবি চাইলেই দিয়ে দিতাম। কিন্তু তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে জনা ১৫ লোক এনে তালা ভেঙে ঢুকেছেন। তাতেই আপত্তি করে তাঁদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল।’’ এই নিয়ে ইলিয়াস এবং তাঁর লোকদের বিরুদ্ধে থানায় এবং দলের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান হায়দার।খানাকুল-২-এর ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরীর অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়গুলো অন্যায়ভাবে দখল করে তোলা আদায়ের আখড়ায় পরিণত করেছিলেন হায়দার। লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থানের পর সেই সব দলীয় কার্যালয়গুলোয় তালা মেরে লুকিয়ে থাকতেন। ইলিয়াসের কথায়, ‘‘কর্মসূচির আয়োজন করতে ওই কার্যালয়ে দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তা প্রচার সত্ত্বেও ওরা তালা না খোলাতেই ভাঙতে হয়েছে।" পুলিশ এবং দলের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ইলিয়াসের বক্তব্য, “এই অঞ্চলে যতগুলো আমাদের কার্যালয় এখনও তালা মারা আছে, সবকটাই প্রয়োজনে ভেঙে খুলব। কর্মসূচি চলতে থাকবে। দল যদি ভাবে আমি অন্যায় করছি, সরিয়ে দিতে পারে। আর আইন আইনের মতো চলবে।’’
দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে অঞ্চলের পিলখাঁ, চৌঘষা, রামপ্রসাদ সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায়ই মারপিট লেগেই আছে। এমনকি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। সম্প্রতি শাসক দলের ওই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে স্থানীয় ঝড়ুয়া এবং ঘোষপুর খাঁ পাড়ার পুকুর সংস্কারের কাজ বন্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের বিক্ষোভও হয়।
সমস্ত বিষয়টা নিয়ে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, “দলীয়ভাবে বিষয়টা তদন্ত করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’’