Uluberia Panchayat Samity

পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সরল অভিষেকের ছবি

সরকারি ওই কার্যালয়ে সভাপতির ঘরের দেওয়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পাশেই অভিষেকের ছবি থাকা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৯
Share:

দেওয়ালের বাঁ’দিকে লাগানো ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। মঙ্গলবার সেটি সরিয়ে দেওয়া হল। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরানো হল উলুবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে সভাপতি মালেখা খাতুনের ঘর থেকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ছবিটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

Advertisement

সরকারি ওই কার্যালয়ে সভাপতির ঘরের দেওয়ালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির পাশেই অভিষেকের ছবি থাকা নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। গত সোমবার আনন্দবাজারে এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। তৃণমূলে অভিষেকের কর্তৃত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন দলের অন্দরে ঘুরছে। এই আবহে পঞ্চায়েত সমিতিতে তাঁর ছবি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল তথা রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় দলীয় নেতৃত্বের তরফে দ্রুত ওই ছবি সরানোর নির্দেশ নেওয়া হয়।

মালেখা বলেন, ‘‘সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই ছবি সরানো হয়েছে। এর চেয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।’’ সমিতির শাসকদলের বেশিরভাগ সদস্যই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। এক সদস্য শুধু বলেন, ‘‘পত্রিকায় এই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরেই দল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় ছবি সরানোর জন্য।’’ উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক তথা হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘দলের যাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বোধোদয় হয়েছে, শুনে ভাল লাগছে।’’ গত সোমবার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় সমীর বলেছিলেন, অভিষেকের ছবি লাগানোর জন্য তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় আছে।

Advertisement

হাওড়া জেলা সিপিএম সম্পাদক দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘খবরের কাগজে ছবি দেখে ওদের বোধোদয় হয়েছে! আসলে নেতার ছবি সামনে রেখে নেতাকে স্মরণ করে চুরি করছিল। এ বার ছবির আড়ালে চুরি করবে।’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল দলটা জ্ঞানপাপী। ওরা জেনেশুনে সমস্ত অন্যায় কাজ করে। সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর ধান্দা। বিরোধীরা সরব হওয়ায় বিতর্কের মধ্যে ফেঁসে গিয়ে সরকারি দফতর থেকে ওই ছবি সরাতে ওরা বাধ্য হয়েছে। সরকারি দফতরে তৃণমূল নেতার ছবি প্রমাণ করে, প্রশাসন কার কথায় চলে।’’

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার জন্য বিডিও (উলুবেড়িয়া ২) অভিজ্ঞা চক্রবর্তীকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। হোয়াটসঅ্যাপ-বার্তাও জবাব মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement