তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাধার জেরে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি আক্রমণ। আহত প্রাক্তন জাতীয় কবাডি খেলোয়াড় রাম কুমার সাহা-সহ তিন ব্যক্তি। বেধরক মারধরের ফলে হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্ত নিখিল মণ্ডলও। রবিবার সন্ধ্যাবেলা এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় চন্দননগর গোন্দলপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, জ্যোতি তিওয়ারী নামে এক বিধবা মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মানকুন্ডু কুমড়োবাগান লেনের নিখিল মন্ডলের। নিখিল বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তবুও মাঝে মধ্যেই জ্যোতির বাড়িতে আসতেন নিখিল। তা নিয়ে নিখিলের পরিবার বেশ কয়েকবার অশান্তি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ নিখিল ছাড়াও বাইরের লোকজনের আনাগোনাও চলত ওই বাড়িতে । এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অভিযোগ এনে পাড়ার ক্লাবের পক্ষ থেকেও বেশ কয়েকবার বোঝানো হয়েছিল।
রবিবার সন্ধেবেলাও জ্যোতির বাড়িতে আসেন নিখিল। সেই সময় নিখিলের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে এসে উপস্থিত হন। অশান্তি দেখে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও উপস্থিত হয়। প্রতিবেশীদের সঙ্গে এই নিয়ে নিখিলের সঙ্গে বচসার সৃষ্টি হলে হঠাৎই ছুরি বের করে নিখিল স্থানীয়দের উপর এলোপাথারি আক্রমণ শুরু করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন জাতীয় কবাডি খেলোয়াড় তথা বর্তমান কলকাতা পুলিশের কর্মী রাম সাহা। বচসা থামাতে গেলে তাঁর উপরেও ছুরি নিয়ে চড়াও হন নিখিল। ছুরির আঘাতে রাম সাহা,অমর ঘোষ ও আশীষ ধারা আহত হন।
এর পর স্থানীয়রাও নিখিল ও জ্যোতির উপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করেন। আহতদের চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত নিখিল মন্ডলকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাম জানিয়েছেন, ওখানে গন্ডগোলের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। তিনি স্থানীয় পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁর উপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করা হয়। তবে পাঁচ-ছয় জন মিলে আক্রমণ করা হয় বলেও তাঁর দাবি।
জ্যোতির দাবি নিখিলের সঙ্গে তিনি রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছেন। তাই মাঝে মাঝেই তিনি এখানে এসে থাকতেন।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর থানা। অভিযুক্ত নিখিল মন্ডলকে গ্রেফতার করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।