Panihati

Panihati Murder: শুভজ্যোতির মুণ্ড গঙ্গায় ফেলে দেয় সুবীর, দাবি

শুভজ্যোতির মুণ্ডহীন দেহটি টানা তিন সপ্তাহ শ্রীরামপুরের মর্গে থাকার পরে দিন তিনেক আগে পুলিশ শনাক্ত করাতে সক্ষম হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ০৭:৫৪
Share:

শুভজ্যোতি বসু।

জোরদার তল্লাশির পরেও উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির নিহত যুবক শুভজ্যোতি বসুর মুণ্ড এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত, নিহতের বন্ধু সুবীর অধিকারীকে মঙ্গলবার রাতে উত্তরপাড়ার ধাড়সার গঙ্গার ঘাটে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর পরে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, মুণ্ডটি সে গঙ্গায় ফেলে দেয় বলে দাবি করেছে।

Advertisement

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানান, চলতি মাসের ১ তারিখ রাতে সুবীররা কখন ওই ঘাটে আসে, তারপর মদ খেয়ে কী ভাবে চপার দিয়ে শুভজ্যোতির ধড়-মুণ্ড সে আলাদা করে দেয়, সেই রাতে কী ঘটেছিল— পুরোটাই হুবহু সুবীর অভিনয় করে দেখায়। খুনের পরে গঙ্গায় শুভজ্যোতির মুণ্ড এবং খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র সে ফেলে দেয় বলে জানিয়েছে। সবশেষে গঙ্গায় নেমে সে স্নান করে বলেও পুলিশকে জানায় সুবীর। এ দিন সুবীরের ভাবলেশহীন ভঙ্গি দেখে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা তাজ্জব বনে যান।

শুভজ্যোতির মুণ্ডহীন দেহটি টানা তিন সপ্তাহ শ্রীরামপুরের মর্গে থাকার পরে দিন তিনেক আগে পুলিশ শনাক্ত করাতে সক্ষম হয়। তারপরই পুলিশ নিহত শুভজ্যোতির স্ত্রী পূজা রায় (চট্টোপাধ্যায়), বন্ধু সুবীর এবং তার স্ত্রী শমিষ্ঠা ভাস্করকে হিন্দমোটর থেকে গ্রেফতার করে। নিহতের দেহ তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রীরামপুরে দাহ করা হয়। চলতি মাসের ২ তারিখ শ্রীরামপুরের বাঙিহাটি এলাকায় দিল্লি রোডের সার্ভিস রোডের ধারের একটি শুকনো নালা থেকে শুভজ্যোতির মুণ্ডহীন দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement