Goghat

বেআইনি ভাবে গাছ কাটায় প্রধানের আর্থিক জরিমানা

প্রধানের নামে কেন এফআইআর হল না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। সোমবার এ বিষয়ে গোঘাটের বহু রাস্তায় পোস্টার দেয় সিপিএম। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৩ ০৯:১৪
Share:

গাছ কাটার প্রতিবাদে বামেদের পোস্টার। হাজিপুরের রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র — ফাইল চিত্র।

সম্প্রতি বৈধ অনুমতি এবং দরপত্র ছাড়াই বেআইনি ভাবে গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল গোঘাটের তৃণমূল পরিচালিত হাজিপুর পঞ্চায়েত প্রধান সুলেখা ঘোষ-সহ কয়েক জন সদস্যর বিরুদ্ধে। বন দফতর অভিযোগ খতিয়ে দেখে ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল প্রধানকে।

Advertisement

বন দফতরের আরামবাগ চাঁদুর রেঞ্জের বিট অফিসার শুভঙ্কর সিকদার বলেন, “দাদপুর ভীমতলা সংলগ্ন ক্যানাল পাড়ের গাছ কাটায় অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রধান এবং যারা গাছ কেটেছে তাদের কাছ থেকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। শনিবার রাতেই টাকাটা প্রধান জমা দিয়েছেন। আটক গাছ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

কিন্তু আটক হওয়া গাছ কেন ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। প্রধানের নামে কেন এফআইআর হল না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। সোমবার এ বিষয়ে গোঘাটের বহু রাস্তায় পোস্টার দেয় সিপিএম। পোস্টারের কথা স্বীকার করে সিপিএমের শাখা সম্পাদক রণজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘এমন গুরুতর অন্যায়ের পর স্রেফ ২০ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে গাছগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হবে কেন?”

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূলেরও একটা অংশ। গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মিতালি বাগের অভিযোগ, “প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার গাছ কাটা হয়েছে। কীসের ভিত্তিতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে মানুষ আমাদের প্রশ্ন করছেন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এটা খারাপ দৃষ্টান্ত।”

বন দফতরের এক কর্তার দাবি, ‘‘যেহেতু গাছগুলি পঞ্চায়েতের সম্পত্তি, তাই পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন থেকেই এফআইআর করতে হবে। বেআইনি গাছ ভাবে কাটা হলে তার মূল্য বুঝে জরিমানা করা হয়েছে।’’ এফআইআর প্রসঙ্গে বিডিও দেবাশিস মণ্ডল বলেন, “আমরা প্রয়োজনীয় যা পদক্ষেপ করার দরকার, তাই করেছি।’’

অভিযোগ এবং জরিমানা নিয়ে প্রধান সুলেখা ঘোষ বলেন, “আমার তরফে ত্রুটি ছিল না। পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দরপত্র ডেকে যাঁরা গাছ কাটার বরাত পাবেন, তাঁরাই বন দফতর থেকে অনুমতি এনে গাছ কাটাবেন। আপাতত যাঁরা গাছটা নিয়েছেন তাঁরাই আমার মাধ্যমে জরিমানার টাকাটা দিয়েছেন।’’

যিনি গাছ নিয়েছেন, সেই শেখ সাইফুলের অবশ্য দাবি, “আমরা আগেই গাছগুলোর বিনিয়মে পঞ্চায়েতের কাছে ১৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। ফের জরিমানার টাকা আমরা দিইনি। ওটা প্রধানকেই

দিতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement