সিপিএমের ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে পান্ডুয়ায়। — নিজস্ব চিত্র।
দেওয়াল সে ভাবে মিলছে না। অন্যান্য হ্যাপা, খরচও কম নয়। দেওয়াল লিখন নয়, হুগলির পান্ডুয়ায় প্রচারে ফ্লেক্সেই জোর দিয়েছে বিরোধীরা।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, ভোট প্রচারে দেওয়াল লিখতে বাড়ির-মালিকের লিখিত অনুমতি প্রয়োজন। বিভিন্ন বিরোধী দল সূত্রের খবর, অধিকাংশ দেওয়াল শাসক দল তৃণমূল ‘দখল’ করে নিয়েছে। তা ছাড়া, ঝামেলার ভয়ে অনেকেই বিরোধী দলকে দেওয়ালে লেখার অনুমতি দিতে চান না। সেই কারণে প্রচারের পুরনো ওই ধারা বদলে ফ্লেক্সের পথে হাঁটছে তারা।
এর পাশাপাশি, দেওয়াল লেখার অনীহার আরও কারণ আছে। ব্লকের এক সিপিএম নেতার বক্তব্য, ফ্লেক্সে তৈরি করলে দেওয়াল লিখনের তুলনায় সাশ্রয় হয়। একটি নির্দিষ্ট আয়তনের দেওয়ালে লিখতে যদি ৫০০ টাকা খরচ হয়, সে ক্ষেত্রে ওই টাকায় ওই আকারের তিনটি ফ্লেক্স হয়ে যাচ্ছে। তাতে প্রার্থীর ছবিও থাকছে। দেওয়ালে লিখে বা এঁকে যা সম্ভব নয়।
বিজেপির পান্ডুয়া মণ্ডল সভাপতি অমিতাভ ঘোষ বলেন, ‘‘দেওয়াল লেখার শিল্পীর অভাব রয়েছে। যাও পাওয়া যায়, খরচ আছে। ফ্লেক্স এবং ফেস্টুন দিয়ে সহজেই কাজ মিটছে।। তা ছাড়া, বেশিরভাগ দেওয়াল তৃণমূল আগে থেকেই দখল করে রেখেছে। আমরা বিরোধী দল করি বলে বাড়ি বা জমির মালিক ভয়ে দেওয়াল লেখার অনুমতি দিতে দ্বিধা বোধ করছেন। ফ্লেক্সে সব সমস্যাই মিটছে।’’
পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী শুভেন্দু সাহা বলেন, ‘‘প্রচারের সময় কম। দেওয়াল লেখার শিল্পী থাকলেও গোটা ব্লক ঘুরে লেখার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণেই ফ্লেক্স। দ্রুত কাজটা হচ্ছে, খরচও কম। এর পাশাপাশি, বাড়ি বাড়ি লিফলেটে প্রচার করছি।’’
দেওয়াল দখলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখন ডিজ়িটাল যুগ। দেওয়াল লেখার উপরে আমরাও আর ততটা জোর দিচ্ছি না। আমরাও রঙিন পোস্টার এবং ফ্লেক্সেরউপরে জোর দিয়েছি। কম খরচে বেশি প্রচার হচ্ছে।’’