বেআইনি: এ ভাবেই বাতিস্তম্ভের সঙ্গে বেঁধে মারা হয় যুবককে। রবিবার, ডোমজুড়ে। নিজস্ব চিত্র
গরু চোর সন্দেহে এক যুবককে বাতিস্তম্ভে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। এ-ও অভিযোগ, যে গাড়িতে করে গরু পাচার করা হচ্ছিল, সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার পাকুড়িয়ার তেঁতুলকুলিতে। খবর পেয়ে ডোমজুড় থানার পুলিশ মহম্মদ ইজ়হার নামের ওই যুবককে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তদন্তে নেমে গরু চোর সন্দেহে পাকুড়িয়া থেকেই ছ’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে প্রাতর্ভ্রমণের সময়ে এক যুবক দেখেন, কয়েক জন দুষ্কৃতী একটি গরুর পায়ে দড়ি বেঁধে তাকে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে। গোরাচাঁদ মালিক নামে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ওই যুবক জানান, গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকা থেকে গরু চুরির ঘটনা ঘটে চলেছিল। তিনি বলেন, ‘‘চোখের সামনে ফের গরু চুরি হতে দেখে বাকি প্রাতর্ভ্রমণকারীর সঙ্গে ওই দুষ্কতীদের তাড়া করে এক জনকে ধরে ফেলি। বাকিরা পালিয়ে যায়। খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই পাড়ার লোকজন ছুটে আসেন।’’ পুলিশ জানায়, এলাকার বাসিন্দারা ওই যুবককে ধরে বাতিস্তম্ভে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন। যে গাড়িতে করে গরু পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল, সেটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ইজ়হারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ পুড়ে যাওয়া গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে সরিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, গরু চুরির এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাকুড়িয়ারই বাসিন্দা ছ’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকুড়িয়ায় প্রায়ই গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।