আজিজ খান ওরফে লাল্টু। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে গ্রেফতার হুগলির আরামবাগের দাপুটে তৃণমূল নেতা। ধৃতের নাম আজিজ খান ওরফে লাল্টু।, দুষ্কৃতীকে ধরতে যাওয়ায় পুলিশকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ ‘চক্রান্ত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। লাল্টু নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।
লাল্টু আরামবাগের হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী তৃণমূল প্রধান। এলাকায় দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত লাল্টু। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং হেনস্থার অভিযোগ লাল্টুর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে তারকেশ্বরের আমতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। পুলিশের দাবি, দিন দু’য়েক আগে আরামবাগের হরিণখোলা ১ নম্বর অঞ্চলে বাবুসোনা নামে ফেরার তালিকায় থাকা এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরতে গেলে লাল্টু পুলিশকে বাধা দেন। পুলিশকে আটকাতে তিনি গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে হাজির করানোর সময় ধৃত লাল্টু দাবি করেন, ‘‘এ সবই চক্রান্ত। মানুষ শেষ কথা বলবেন।’’ হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘এক জন ওয়ান্টেড দুষ্কৃতীকে পুলিশ ধরতে গিয়েছিল। সেখানে বাধা দেন আজিজ খান। পুলিশকে হেনস্থা করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে।’’
এ নিয়ে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার বলেন, ‘‘যদি অভিযোগ উঠে থাকে সেটা পুলিশ দেখবে। আইন আইনের পথে চলবে।’’