উত্তরাখণ্ডের চৌহান পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যাকে নিয়ে গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের সহকারী অধিকর্তা কে এস চৌহান। ঠিক ছিল পহেলগাঁওয়ে পৌঁছেই প্রথমে বৈসরনে যাবেন। কিন্তু পহেলগাঁওয়ে পৌঁছোনোমাত্রই চৌহানের পুত্র জেদ ধরে আগে খাওয়াদাওয়া করবে, তার পর বৈসরনে যাবে।
ছেলের জেদকে প্রাধান্য দিয়েই শেষমেশ হোটেলে ব্যাগপত্তর রেখে মধ্যাহ্নভোজ সারতে যায় চৌহান পরিবার। খেতে খেতেই তাঁরা ঠিক করেন বৈসরনের আগে বেতাব উপত্যকা আগে ঘুরে এলে কেমন হয়! যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। বৈসরনের দিকে না গিয়ে বেতাব উপত্যকার দিকে চলে যান চৌহানেরা। তখন দুপুর ২টো। তত ক্ষণে বৈসরনে জঙ্গিহামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। জঙ্গিহামলার খবর পৌঁছোয় বেতাব উপত্যকাতেও।
কে এস চৌহান বলেন, ‘‘বেতাব উপত্যকায় পৌঁছে যখন বৈসরনে জঙ্গিহামলার খবর পেলাম, আমাদের সকলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছিল। ঈশ্বরের অশেষ কৃপা যে, ছেলের জেদ এবং মধ্যাহ্নভোজের সময় বেতাব উপত্যকা ঘুরতে যাওয়ার হঠাৎ পরিকল্পনাই আমাদের বাঁচিয়ে দিয়েছে।’’
জঙ্গিহামলার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হোটেলে ফিরে আসেন চৌহানেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ভ্রমণ তাঁদের কাছে দুঃস্বপ্নের হয়ে থাকল। পরের বার কাশ্মীরে আসার আগে দু’বার ভাববেন বলেও জানান কে এস চৌহান। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল বৈসরনে জঙ্গিরা হামলা চালায়। সেই হামলায় ২৫ ভারতীয় এবং নেপালের এক নাগরিক নিহত হন।