—প্রতীকী চিত্র।
রেলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এক দম্পতি। সেই মতো বছর দুয়েক আগে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকাও নিয়েছিলেন তাঁরা। টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে ছ’মাস আগে অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে ধনিয়াখালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। রবিবার মোবাইলের সূত্র ধরে হাওড়ার নিশ্চিন্দা থেকে অভিযুক্ত নিশিকান্ত জানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
ধনিয়াখালি থানার দশঘড়ার বাসিন্দা শেখ জাকির তাঁর ছেলের চাকরির জন্য বছর দুয়েক আগে দশ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিশিকান্তকে। বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি। নিশিকান্ত টাকাও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। জাকিরের বাসনের দোকান আছে দশঘড়া বাজারে। সেখানেই নিশিকান্ত ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। রেল, স্কুল-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে টাকা দিলেই চাকরি করে দিতে পারবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। তার বদলে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন তাঁরা। এর পর ধাপে ধাপে সেই টাকা দেন জাকির। অভিযোগ, দু’বছর পরেও ছেলের কোনও চাকরি হয়নি। এমনকি, টাকা ফেরত চাইলে কোনও না কোনও ভাবে তাঁরা এড়িয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। তিনি আরও জানান, যত বার নিশিকান্তর থেকে টাকা ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে, তত বার তিনি নানা অজুহাত দিয়েছেন। টাকা ফেরতের নির্দিষ্ট কোনও সময়েও তাঁদের থেকে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ জাকিরের। এর পরেই তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
জাকির বলেন, “স্নাতক ছেলের চাকরির জন্য নিশিকান্তকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। বর্ধমানে নিয়ে গিয়ে এক জনের সঙ্গে কথাও বলিয়ে দিয়েছিল আমাকে। বিশ্বাস করেছিলাম। পরে দেখলাম প্রতারিত হয়েছি। এখন মনে হচ্ছে ছেলের জন্য এ ভাবে টাকার বিনিময় চাকরির চেষ্টা করাটাও ভুল ছিল।”