গাড়ি সাজিয়ে সদ্যোজাতকে বরণ করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।
আজও এমন অনেক পরিবার আছে, যেখানে মেয়ে জন্মালে মাকে খোঁটা শুনতে হয়। সদ্যোজাত কন্যাসন্তানকে হাসপাতালে ফেলে পালানোর ঘটনাও ঘটে। প্রায়ই শোনা যায় কন্যাসন্তান বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। মেয়ে হওয়ায় মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়ার রবিউল মণ্ডল যা করলেন, তাতে অবাক সকলে! গাড়ি সাজিয়ে সদ্যোজাতকে বরণ করে বাড়ি নিয়ে গেলেন তিনি।
দিন কয়েক আগে ডোমকল হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রবিউলের স্ত্রী কল্পনা খাতুন। রবিউল ও কল্পনার এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ছেলের জন্মের প্রায় সাত বছর পর মেয়ে হওয়ায় অত্যন্ত খুশি স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই। ফুল, বেলুন দিয়ে মাতৃযান প্রকল্পের অ্যাম্বুল্যান্স সাজিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মিষ্টিমুখ করিয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান তাঁরা। সম্প্রতি একই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে বীরভূমের লাভপুরে। ষষ্ঠীনগরের বাসিন্দা নাসিরুল ইসলামও একই ভাবে সদ্যোজাত মেয়েকে বরণ করে বাড়িতে তুলেছিলেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘সমাজের অগ্রগতির অন্যতম মাপকাঠি হল মানবিক চেতনার উন্মেষ। এই ঘটনাকে দৃষ্টান্ত থেকে স্বাভাবিক ঘটনায় রূপান্তরিত করতে পারলেই আমূল পরিবর্তন ঘটবে সমাজ ব্যবস্থায়।’’