বাঁ দিকে বড় ছেলে মহম্মদ সাকিব ও ডান দিকে বাবা তাঁর সাবির আলি। — নিজস্ব চিত্র।
নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মহিলার থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণা। সেই অভিযোগে খিদিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হল এক জনকে। ওই একই অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বাবা এবং আর এক ভাইয়ের বিরুদ্ধেও। তাঁদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
হুগলির চাঁপদানির ব্যবসায়ী মহম্মদ মমতাজ আনসারির অভিযোগ, ২০১৯ সালে তাঁকে গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মহম্মদ সাকিব নামে খিদিরপুরের এক বাসিন্দা। মমতাজের দাবি, এর পর তাঁকে কলকাতার দফতরে দেখা করতে বলেন সাকিব। সেখানে সাকিব তৎকালীন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সহ বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ছবি দেখান বলেও মমতাজের দাবি। মমতাজের অভিযোগ, এর পর কয়েকটি কিস্তিতে সাকিব তাঁর থেকে মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ১০০ টাকা নেন। সাকিব ছাড়াও তাঁর বাবা সাবির আলি এবং আর এক ভাই সইফও ওই দলে ছিলেন বলে মমতাজের অভিযোগ। তাঁর দাবি, এর পর প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও গাড়ি পাননি তিনি। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চন্দননগর কোর্টে এহং ভদ্রেশ্বর থানায় বাবা এবং তাঁর দুই ছেলে-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান মমতাজ।
মঙ্গলবার খিদিরপুর থেকে সইফকে গ্রেফতার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। বুধবার তাঁকে চন্দননগর আদালতে তোলা হয়। তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। শনিবার আবারও তাঁকে আদালতে তোলা হয়। তাঁকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক। মমতাজের আইনজীবী দিগন্ত মুখোপাধ্য়ায় বলেন, ‘‘শুধু মমতাজের সঙ্গেই নয়, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর এলাকার অনেকের সঙ্গে এমন প্রতারণা হয়েছে। বাবা এবং দুই ছেলে মিলে একটি কোম্পানি খুলে প্রতারণা চালাতেন।’’ বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।