ফাইল চিত্র।
আজ থেকে মাধ্যমিক শুরু। করোনার খারাপ সময় কাটিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আসরে ছাত্রছাত্রীরা। হুগলিতে ৬০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দেবে। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি তুলনায় অনেক ভাল হলেও স্বাস্থ্যবিধি
নিয়ে কোনও আপস করা হবে না। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে আইসোলেশন কক্ষ থাকবে।
হুগলিতে এ বার পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৬০ হাজার ৪২৮ জন। ছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। ছাত্রদের সংখ্যা ২৬ হাজারের কিছু বেশি। জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ২৪০টি। তার মধ্যে ৯৩টি প্রধান পরীক্ষাকেন্দ্র। বাকিগুলি্ উপ-কেন্দ্র। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুর বলেন, ‘‘সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিত সব নিয়ম মেনেই যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’’
গত কয়েক বছর ধরেই কলকাতার কাছের এই জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি থাকছে। এ বারেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রইল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশের বক্তব্য, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের কারণে মেয়েদের পড়াশোনায় ঝোঁক বেড়েছে। অভিভাবকরাও মেয়েদের পড়াশোনা নিয়ে এখন তুলনায় বেশি যত্নশীল। অন্যদিকে, পড়া ছেড়ে কম বয়সে ছেলেদের ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়ার প্রবণতা হুগলির বিভিন্ন অংশে এখনও রয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই মাধ্যমিকে ছাত্রীদের হার ছাত্রদের তুলনায়
বেশি হচ্ছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোভিড-বিধি পুরোপুরি মেনে চলা হবে। কেন্দ্রে ঢোকার মুখে থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে নেওয়া হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার, মাস্ক মজুত রাখা হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ‘সিক রুম’ যেমন থাকবে, তেমনই করোনার উপসর্গ থাকলে ছাত্রছাত্রীদের আইসোলেশন রুমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। পুলিশ-প্রশাসন, মোটরযান দফতরের পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরও সমন্বয় রেখে কাজ করবে।
প্রশাসন জানিয়েছে, বাস, অটো-টোটো পর্যাপ্ত সংখ্যায় রাস্তায় থাকবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পরীক্ষার্থীদের কোনও রকম অসুবিধা হবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নির্দিষ্ট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হবে প্রশাসনের তরফে। পুলিশের নজরদারি থাকবে।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, নিয়ম মেনে পরীক্ষার তিন দিন আগে থেকে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার কথা ভেবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার কথা বলা হয়েছে। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। এই সময় ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা স্মার্টফোন বা কোনও বৈদ্যুতিন সামগ্রী নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরাও মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে তা জমা রেখে তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হবে। কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।