প্রতীকী ছবি।
উলুবেড়িয়া পুরসভায় পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প চালু করার ব্যপারে চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সে জন্য পুরসভাকে প্রাথমিক ভাবে দু’টি ওয়ার্ডে এ সংক্রান্ত পাইলট প্রকল্প চালু করার কথা বলা হয়েছে। উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা।
সম্প্রতি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন ‘স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’ (সুডা)-র বৈঠকে ডাকা হয় উলুবেড়িয়া পুরসভাকে। তাতে যোগ দেন পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর জল সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য আকবর শেখ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা উলুবেড়িয়া পুরসভার জন্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প চেয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে দু’টি ওয়ার্ডে আগে পাইলট প্রকল্প চালু করতে।’’
পুরসভা সূত্রের খবর, এক মাস ধরে দু’টি ওয়ার্ডে যে পরিমাণ বর্জ্য জমা হবে, তা থেকে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে পচনশীল বর্জ্যগুলি আলাদা করে রাখা হবে। একমাস পরে ওই বর্জ্যের পরিমাণ দেখে পুরসভায় এই প্রকল্প চালু করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে।
আকবর জানান, যে হেতু পচনশীল বর্জ্য দিয়েই পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পটি চালানো হবে, তাই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কতটা পচনশীল বর্জ্য জমে, সেটা দেখে নিতে চায় ‘সুডা’। তা থেকেই তারা সমগ্র পুরসভায় কতটা পচনশীল বর্জ্য জমা হতে পারে সে বিষয়ে ধারণা করে নিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘‘দ্রুত দু’টি ওয়ার্ডে পাইলট প্রকল্প চালু করে দেওয়া হবে।’’
উলুবেড়িয়া পুর এলাকার বাণীতবলা এবং বাউড়িয়ায় দু’টি ডাম্পিং গ্রাউন্ড আছে। সেখানে শহরের ৩২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য জমা করা হয়। বর্তমানে সেই বর্জ্য একটি বেসরকারি সংস্থা তুলে নিয়ে যায়। পুরসভার বক্তব্য, দু’টি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে যে পরিমাণ বর্জ্য জমা হয়, তার পরিমাণ নেহাত কম নয়। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। এই অবস্থায় যদি তাদের নিজেদের অধীনেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্প থাকে, তা হলে তা থেকে যেমন আয় বাড়বে তেমন অনেকের কর্মসংস্থান হবে। পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, সব দিক ভেবেই সুডা-র কাছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য নিষ্কাশন প্রকল্পটি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।