—প্রতীকী চিত্র।
প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া নাবালিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য হাওড়ার জয়পুর থানা এলাকায়। ওই কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করেছে পরিবার। অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়পুর থানার একটি গ্রামে বারোয়ারি পুজো হয়েছিল। রবিবার প্রতিমা বিসর্জন ছিল। সেখানেই যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কিশোরী। রাত ১০টার পরেও সে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাতভর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও মেয়েকে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন বাবা। অভিযোগ পেয়ে মেয়েটির খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে প্রতিবেশী এক যুবককে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তার পরেই খোঁজ মেলে কিশোরীর। পুলিশ সূত্রে খবর, টানা জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত স্বীকার করেন যে নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন তিনি। তার পর একটি জমিতে দেহ পুঁতে দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় ওই স্থানে গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় পরিবারকে। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহটি। ধর্ষণ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে কিশোরীকে খুন করলেন ওই যুবক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া মহাকুমা আদালতে হাজির করানো হবে অভিযুক্তকে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।