—প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে সিলিং পাখা থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক বালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। হাওড়া জেলার ঘটনা। পুলিশ জানতে পেরেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি গানের দলের প্রবল ভক্ত ছিল মেয়েটি। সে সব নিয়ে বাড়িতে অশান্তি ছিল। সে সবের ফলেই ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশ এবং পরিবারের লোকজনের ধারণা। অস্বাভাবিক মত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর বারোর মেয়েটি এবং তার এক সহপাঠী ওই দলের গান শুনত। সেই ব্যান্ডে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়া যাবে বলে মাসখানেক আগে দু’জনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে।
কলকাতার বেলেঘাটা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের কাউন্সেলিং করানো হয়। কিছু দিন স্কুলে যাওয়া বন্ধ রাখা হয়। মোবাইল সরিয়ে নেওয়া হয়। দু’জনে যাতে যোগাযোগ করতে না পারে, সে জন্য বাড়ির লোক ও পড়শিরা নজরও রাখতেন। দিন দশেক আগে তারা ফের স্কুলে যাওয়া শুরু করে। দু’জনের বিভাগ আলাদা করে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, যে বালিকা আত্মঘাতী হয়েছে, সে অন্য মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিল। তা জানাজানি হওয়ায় বাড়িতে বকাবকি করা হয়। মেয়েটির বাবা-মা দু’জনেই স্কুলশিক্ষক। সোমবার দুপুরের পরে বাবা ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। মা স্কুলে গিয়েছিলেন। সে সময়ে বাবার ঘরের দরজা সামনে থেকে আটকে দিয়ে অন্য ঘরে গিয়ে মেয়েটি গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, ‘‘অভিভাবকদের আরও বেশি নজর রাখতে হবে ছেলেমেয়েদের উপরে। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বেশি করে সচেতনতা শিবির করা হবে।’’