মৃতার পরিবারের দাবি, মেয়েকে খুনই করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য হরিপালে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়, বন্ধ ঘরের মেঝে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। কারণ গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও, রক্তাক্ত অবস্থায় দেহটি উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিবেশীদের।
শুক্রবার সকালে হরিপালের প্যাঁটরা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রসাদপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতার নাম ফিরদৌসি বেগম (২৩)। কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন তাঁর স্বামী। বাড়ির দোতলার ঘরে ফিরদৌসি একাই থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে বেডলা বাড়লেও ফিরদৌসি নীচে নামেননি। তাতে সন্দেহ হলে উপরের ঘরে যান তাঁর শাশুড়ি। সেখানেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের মেঝেয় ফিরদৌসির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। শাশুড়ির চিৎকারেই পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বয়ানের ভিত্তিতে ফিরদৌসির শ্বশুর, শাশুড়ি এবং দেওরকে আটক করেছে হরিপাল থানার পুলিশ। বাড়ির সব ঘর সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে ফিরদৌসির মা মনসুরা বেগমের অভিযোগ, ছ’বছর আগে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। তাঁর মেয়েকে খুনই করা হয়েছে। দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়েছেন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরেই ফিরদৌসির শ্বশুরবাড়িতে রং এবং গ্রিলের কাজ চলছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা এফার মল্লিক বলেন, ‘‘দেহটি রক্তাক্ত অবস্থায় মিলেছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা খুন করেছে, তা তদন্ত করে বার করুক পুলিশ। খুনি বাড়ির লোক হোক বা বাইরের, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’’