টোটোচালকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই টোটোচালককে। ফাইল চিত্র।
টোটো ভাড়া করেছিলেন দু’জন। ভাড়া ঠিক হয়েছিল ৩৫০ টাকা। ওই ভাড়ায় বেরিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি টোটোচালক। এক দিন পর উদ্ধার হল তাঁর দেহ। বুধবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের চাঁদনি মোড়ে। পরিবারের অভিযোগ, শেখ আব্দুল রহিম নামে ওই টোটোচালককে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবশ্য এই অবরোধ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জগৎবল্লভপুরের হাবলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আব্দুল রহিম মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সকালে আমতার চন্দ্রপুর এলাকায় একটি নয়ানজুলি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরনের ট্রাইজার থাকলেও তাঁর গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। মৃতের আত্মীয় শেখ সাহেব বলেন, ‘‘টোটো ছিনতাই করতে রহিমকে খুন করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মঙ্গলবার মুন্সিরহাট স্ট্যান্ড থেকে আমতায় ভাড়া আছে বলে জানিয়েছিল ও। বলে দু’জন ৩৫০ টাকা ভাড়া দেবে বলেছে। ওই জন্য সকাল ১০টায় ও বেরিয়ে যায়। তার পর আর ফেরেনি। বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ফোনও বন্ধ পাওয়া গিয়েছে।’’ সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে জগৎবল্লভপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে রহিমের পরিবার।
আমতার চন্দ্রপুরে দেহ উদ্ধারের পর রহিমের পরিবারের লোকজন তাঁর দেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। টোটো চালকের স্ত্রী সাকিনা বেগমের অভিযোগ, ‘‘নতুন টোটো ছিল স্বামীর। সেটা ছিনতাই করতে গিয়েই ওকে খুন করা হয়েছে। ওর কাছে থাকা টাকাপয়সা, মোবাইল কোনও কিছুরই খোঁজ পাওয়া যায়নি। টোটোটাও মেলেনি।’’
এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।