Mysterious death

হাওড়ায় তরুণীর রহস্যমৃত্যু, ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে রাস্তায় ফেলে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মধু পাখিরা। বয়স ১৮ বছর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই গ্রামেরই যুবক সুরজিৎ পাখিরা এবং মধুর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাস ছয়েক আগে তাঁরা বিয়ে করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৯
Share:

শ্বশুরবাড়িতে বধূর রহস্যমৃত্যু। অভিযোগের আঙুল স্বামী ও তাঁর পরিবারের দিকে। — নিজস্ব চিত্র।

শ্বশুরবাড়িতে বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু। অভিযোগ, ঝুলন্ত দেহ দেখার পর সেটি নামিয়ে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তরুণীর বাপের বাড়ির লোক এবং স্থানীয়রা দেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের হাটাল পাত্র পাড়ায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে চাইলে প্রথমে বাধার মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে যায়। শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মধু পাখিরা। বয়স ১৮ বছর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই গ্রামেরই যুবক সুরজিৎ পাখিরা এবং মধুর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাস ছয়েক আগে তাঁরা বিয়ে করেন। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মধুর উপর অত্যাচার শুরু হয়। অনেক সময় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে যেতেন। কিছু দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের পরে তিনি বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। পরে আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। মধুর বৌদি দীপা সাঁতরার অভিযোগ, তাঁর ননদকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন তিনি। দীপা জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁর ননদ। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের এই বিয়েতে মত ছিল না। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তাঁর উপর অত্যাচার করা হত। দীপার কথায়, ‘‘স্বামী সুরজিতের ব্যবহারে মাঝে মধ্যে বাপের বাড়ি চলে আসতেন মধু। ফিরে যেতে চাইতেন না। রবিবারের ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনও খবর দেয়নি। দেহ রাস্তায় ফেলে দেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে।’’

জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এলে গ্রামবাসীরা দেহ নিতে দেননি। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রায় তিন ঘণ্টা মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে দেহ ছেড়ে দেওয়া হয়। সরস্বতী পাছাল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘খুবই ভাল মেয়ে ছিল মধু। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement