Prasun Banerjee

Prasun Banerjee: মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের রাতে পাড়ায় জোরে বক্স বাজিয়ে নাচগান! কাঠগড়ায় সাংসদ প্রসূন

অনুষ্ঠানে জোরে গান চালিয়ে অতিথিদের উদ্দাম নাচের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যদিও ওই ভিডিয়ো যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ০১:৪৭
Share:

বসন্ত উৎসবে মাতলেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়

মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত পরীক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় ভর সন্ধ্যাবেলা পাড়ায় বক্স বাজিয়ে বসন্ত উৎসবে মাতলেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় পাড়ায় গান বাজিয়ে অনুষ্ঠান করে পরীক্ষার্থীদের পড়ায় ব্যাঘাত ঘটানোর তুলেছেন অভিভাবকেরা। কটাক্ষ ছুড়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। স্থানীয় জোড়াফুল শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে, দল এমন আচরণ কখনওই সমর্থন করে না।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বসন্ত উৎসব উপলক্ষে হাওড়ার সুরকিকল এলাকায় প্রসূনের বাড়ির সামনে বক্স বাজিয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠানে জোরে গান চালিয়ে অতিথিদের উদ্দাম নাচের ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। স্থানীয়দের দাবি, সাংসদ নিজেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

শনিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই সন্ধ্যার সময় পরীক্ষার শেষ প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন ওই এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় জোরে বক্স বাজানোয় খুবই অসুবিধে হয়েছে। শেষমেশ দরজা-জানলা বন্ধ করে পড়াশোনা করতে হয়েছে ছেলেমেয়েদের।

এই ঘটনায় সাংসদের সমালোচনার পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার দিকেও আঙুল তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে যাওয়ার কারণেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই ভাবে অনুষ্ঠান করতে পেরেছেন সাংসদ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বক্স বাজানো উচিত হয়নি। পরীক্ষার সময় মাইক বাজানো নিয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে চলা উচিত ছিল। যারা আইনের রক্ষক, তারাই আইন ভাঙছে!’’

Advertisement

যদিও প্রসূনের দাবি, তিনি এলাকায় মাইক বাজাননি। অনুষ্ঠানে শুধুই বক্স বাজানো হয়েছে। আর পরীক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধে না হয়, সেই ভাবেই বাজানো হয়েছে। এ নিয়ে কোনও অভিভাবকই তাঁর কাছে অভিযোগ করেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তবে এই ঘটনা যে দল একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন হাওড়া তৃণমূলের জেলা সম্পাদক শ্যামল মিত্র। সাংসদের এমন আচরণের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষার সময় মাইক না-বাজানোর নির্দেশ রয়েছে। তা সত্ত্বেও সাংসদের এই কাজ করা উচিত হয়নি। সরকার বা দল কখনওই এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement